প্রকৃতির আয়না। প্রত্যেক মানুষের জীবনের সাথে আয়নার একটা অদ্ভুত সম্পর্ক আছে। কারোর চুলের নতুন স্টাইল কে ঠিক আছে কিনা তা বারবার দেখে ঠিক করার, কারোর বা আবার নিজের ছবির সাথে কথা বলার, কারোর বা ইমোশনাল মুহূর্তের সম্পর্ক। তবে সবার সাথে আছে কিনা বলতে পারবোনা, আমার সাথে আয়নার সম্পর্ক অনেক দিনের, সেই ছোটো বেলা থেকেই।
বাবার দেখাদেখি চিরুনি নিয়ে চুল ঠিক করা, প্রথম স্কুল শুরুর দিনে নতুন ব্যাগ আর স্কুল ইউনিফর্মে আয়নায় নিজেকে দেখে নেওয়া, আবার কলেজে উঠে প্রথম দিন থেকে কলেজের শেষ দিন পর্যন্ত নিজেকে আয়নায় দেখে নেওয়া। শুধু আমি নই, কমবেশি সবার জীবনেই আয়নার সাথে এটুকু সম্পর্ক অন্তত আছে। আর সে যদি আবার আমার মতো খ্যাপা হয় আর আমার মতো বাজে নেশাখোর হয় তাহলে তো কথাই নেই।
মাঝে মধ্যেই রুকস্যাক টা কাঁধে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়াতে মন্দ লাগেনা, লোকে অবশ্য পাগল বলবে, তবে আমি এটাকে বলি নেশা, হেরোইন এর থেকেও দামি নেশা। যাক সে নেশার কথা অন্য দিন বলবো, আজ আয়নার কথায় আসি, তো এই আয়নার সাথে মানুষের সম্পর্ক তো বোঝা গেল, কিন্তু আমরা যতই এই আয়না ব্যবহার করে নিজেদের পরিপাটি রেখে নিজেদের উন্নত সভ্য মনে করিনা কেন, এই আয়নার ব্যবহারে প্রকৃতিও পিছিয়ে নেই। আমরা প্রকৃতি কে আদিম বলি। কোথায় সে আদিম! সে তো প্রতিদিন আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে, বরং আমাদের আগে চলেছে, অনেক বেশি সভ্য সে। তারও আয়না আছে, তারও একটু সাজগোজ করার শখ হয়। তাই তো প্রকৃতির আয়না সে নিজেই বানিয়েছে। প্রতিনিয়ত প্রতিমুহূর্তে আমাদের মতো নেশাখোরদের সামনে নিজেকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে আসে। আমরা বুঝতেও পারিনা।
ছবি: মুঠোফোন।
ছবিতে: গিরিরাজ হিমালয় তার মুকুটখানি আয়নায় একটু ঠিক করে নিচ্ছেন।
দেওরিয়াতাল, অক্টোবর, ২০১৬।
লিখেছেনঃ সৌম্য ভট্টাচার্য
নিবাস: কলকাতা, বাটানগর।
পেশা: ইন্টেনসিভিস্ট, অর্থাৎ ICU তে থেকে রোগীর চিকিৎসা করা।
শখ বা নেশা: হিমালয়, নতুন পথে হাঁটা
উদ্দেশ্য: সকল কে নতুন পথে হাঁটানো, আর একসাথে বেড়াতে যাওয়া।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
