কয়েক বছর আগে আমাদেরই নিজেদের একটা অনুষ্ঠানে কলকাতার বিড়লা প্লানেটেরিয়াম এর প্রধান এবং বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডক্টর দেবীপ্রসাদ দুয়ারীর সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাই, তখন উনি বলেছিলেন ওনার নাকি আমাদের এই ছোট্ট জায়গাটা খুব পছন্দ, কারণ বাটানগরের আকাশ নাকি প্রপার কলকাতা থেকে অনেক পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত, সেই সুবাদেই প্রায় ২ ঘন্টা ধরে আকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র এবং বাকিদের চেনার সৌভাগ্য হয়েছিল।
জীবনের প্রথম ট্রেক, শুরু করেছিলাম যতটা সহজ ভেবে, ১ ঘন্টার পথ ৩ ঘন্টায় উঠে সেই ভাবনাটাকে ভাঙলাম নিজেই। বাইরে বেরিয়ে থাকা জিভটা আস্তে আস্তে মুখের ভিতর তার নিজস্ব জায়গায় ফিরলে তবে খানিকটা সুস্থ ও স্বাভাবিক মনে হলো নিজেকে। তখন বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে, রুকসাকটা তাঁবুর মধ্যে রেখে বাইরে সবুজ গালিচাতে শুয়ে শুয়ে কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমন্ডল, অরুন্ধতী সব আরেকবার মিলিয়ে নিচ্ছিলাম আরো ভালো ভাবে। তবে বেশিক্ষণ সহ্য হলোনা প্রকৃতির, ঠান্ডা হাওয়ায় কাবু হয়ে অগত্যা তাঁবুর মধ্যে ফিরলাম, ব্যস অলসতা জাঁকিয়ে বসলো ঠান্ডার সাথে।
তাঁবুর মধ্যেই শুয়ে আছি, হঠাৎ বাইরে থেকে চিত্রম দাদার চিৎকার আর বকাবকি, ” এই রকম জায়গায় এসেও তোর অলসতা কাটলো না, এরম শুয়ে আছিস?” আরও অনেক কিছুই বললো, কিন্তু অলসতা কাটলো না, অগত্যা চিত্রম দাদা হাল ছেড়ে দিয়ে, হতাশ সুরে বললো, “আর কিছু না করিস , আমার জন্য একটা কাজ কর শুধু”
আমি বললাম কি কাজ?
বললো “তাঁবুর মধ্যে বসে বসে টর্চ এর আলো টা জ্বালিয়ে নাড়াতে থাক”
একটা বাঁকা হাসি দিয়ে মনে মনে বললাম এ আর এমন কি কাজ।
ফিরছি ট্রেক শেষ করে, ট্রেন এ বসে ছবিতে দেখলাম কি কাজ করেছি। ছবিতে তুলে এনেছি লক্ষ তারার মেলা ।
ছবি সৌজন্যে: চিত্রম ব্যানার্জী।
আলো সৌজন্যে: অলস আমি।
লিখেছেনঃ সৌম্য ভট্টাচার্য
নিবাস: কলকাতা, বাটানগর।
পেশা: ইন্টেনসিভিস্ট, অর্থাৎ ICU তে থেকে রোগীর চিকিৎসা করা।
শখ বা নেশা: হিমালয়, নতুন পথে হাঁটা
উদ্দেশ্য: সকল কে নতুন পথে হাঁটানো, আর একসাথে বেড়াতে যাওয়া।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
