ট্যুরিস্টের খাদ্য বন্য প্রাণী । কর্মব্যস্ত জীবনে একটু সুযোগ পেলেই মানুষ বেরিয়ে পড়ে নতুন নতুন জায়গা দেখার বাসনায়। ছোট্ট এই দেশটাতে বেড়াতে যাবার জায়গার বৈচিত্র্যের কোন অভাব নেই। এক দিকে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল, নদী, নালা, হাওর,আবার আরেকদিকে রয়েছে পাহাড় আর বন। ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে একেক জনের পছন্দ একেক রকমের। কেউ হয়ত সমুদ্রের ধারে শুয়ে, বসে কাটিয়ে দিতে ভালোবাসে। কেউবা আবার আরও রোমাঞ্চের খোঁজে ছুটে বেড়ায় পাহাড় বা বনে। বেড়াতে গিয়ে শুধু নিজের মনোরঞ্জনের কথা ভাবলে চলবে না সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের দ্বারা প্রকৃতির যেন কোন ক্ষতি সাধন না হয়। পাহাড়ে বা বনে ঘুরতে গিয়ে বন্যপ্রাণী হত্যা করে খাওয়ার মাঝে আনন্দ খুঁজে পায় কিছু ট্যুরিস্ট।আজ ট্যুরিস্টের খাদ্য বন্য প্রাণীর মাংস।
প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট উভয় কারণেই উজাড় হয়ে চলছে এদেশের পাহাড় আর বনভূমি। তাই বন্যপ্রাণীদেরও দেখা দিয়েছে আবাস আর খাদ্য সংকট। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে নির্বিচারে বন্য প্রাণী হত্যা। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরে অস্তিত্ব লোপ পাবে বন্য প্রাণীর যা পুরো ইকোসিস্টেমের জন্যই ক্ষতিকর।
এদেশে বন্য প্রাণী রক্ষায় আইন থাকার পরও সেই আইন, নৈতিকতা, মানবিকতা সব কিছুকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে কিছু অসাধু টুরিস্ট এবং লোভী গাইড সবাই মিলেই ধ্বংস করছে বন্য প্রাণী আর পরিণত হয় ট্যুরিস্টের খাদ্যে। দেশের কোন কোন এলাকায় রয়েছে গাইড সিন্ডিকেট, আর এই সিন্ডিকেটকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে কিছু অসাধু আয়োজক। টুরিস্টদের মনোরঞ্জন এবং নিজেদের তুষ্টির জন্য এরা সদস্যদের প্ররোচিত করে বন্য প্রাণী হত্যা আর ভক্ষণের জন্য। গাইড আর কিছু স্থানীয় আদিবাসিও এ জাতীয় প্ররোচণায় তৎপর। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডেকে ডেকে বন্য প্রাণী খাওয়ার জন্য প্ররোচিত করা কতটা ভয়াবহ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন পাহাড়ী জানিয়েছেন টুরিস্টরা পয়সা দিয়ে বন্য প্রাণী হত্যার ব্যবস্থা করে। হরিণের মাংস বারবিকিউ করার লোভ নিয়ে অনেক টুরিস্ট পাহাড়ে যান এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সেইসব হত্যা করা প্রাণীর ছবি দিয়ে অন্যদের প্রলোভন করেন হরিণের মাংস খাওয়ার।
ট্যুরিস্টদের জন্য হত্যা করা একটি হরিণ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ বছর আগে বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে বলিউড তারকা সালমান খানকে সম্প্রতি ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। আমাদের দেশেও এমন কঠোর শাস্তির বিধান করা হোক যাতে কেউ অযাচিতভাবে বন্য প্রাণী হত্যা করতে না পারে এবং বন্য প্রাণী যেন টুরিস্টদের খাদ্যে পরিণত না হয়।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।