বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তৰ্জাতিক বিলুপ্তপ্ৰায় বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদ বাণিজ্য সম্মেলনের ১৬তম সভায় বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদজগত রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩রা মার্চ কে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০১৩ সাল থেকে আজ অবধি প্রতি বছর ৩রা মার্চের এই দিনে সারা পৃথিবীতে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
২০১৫ তে “বন্যপ্রাণী-অপরাধ বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার এখনই সময়”, ২০১৬ তে “বন্যপ্রাণী এবং হাতীদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে”, ২০১৭ সালে “তরুণদের কথা শুনো” এবং ২০১৮ তে “বাঘ গোত্রীয় প্রাণীদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন” এভাবেই বর্তমান সময় এবং পারিপার্শ্বিকতার প্রতি লক্ষ্য এবং সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস –এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “মানুষ এবং পৃথিবী রক্ষায় জলজ প্রাণী”।
তিনভাগ জল আর এক ভাগ স্থল নিয়ে মহাকাশে ভাসতে থাকা এই দারুণ সুন্দর পৃথিবীতে মানব সভ্যতা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সুশৃঙ্খল ভারসাম্য ধরে রাখতে জল এবং জলজ প্রাণীদের ভূমিকা অপরিসীম। পৃথিবীর জীববৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার জন্য জলজ প্রাণী এবং জলজ পরিবেশ রক্ষা করা একটি প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য শর্ত। ঔষধ, খাদ্য, দৈনন্দিন নানাবিধ বিষয় এমনকি বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ইত্যাদি প্রায় সমস্ত কিছুর জন্যেই আমরা সবাই সাগর, মহাসাগর কিংবা জলের অন্যান্য উৎসের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতিনিয়ত মনুষ্যসৃষ্ট দূষন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনে পৃথিবীর জলজ পরিবেশ এবং জলজ প্রাণীদের জীবন আজ হুমকির মুখে। প্রতিদিন একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জলজ প্রতিবেশ ব্যবস্থা আর সেইসাথে ধ্বংস হচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র।
গোটা পৃথিবীর মৎস ভান্ডারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস, গ্রীস্মমন্ডলীয় অঞ্চলে কোরাল রীফগুলোর নিয়মিত ধ্বংস হওয়া ইত্যাদি কোনকিছুই ইতিবাচক প্রভাব ফেলার অপেক্ষা রাখেনা। এই ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সর্বপরি এই বিপদ থেকে বাঁচতে পৃথিবীর জলজ প্রাণী, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি রক্ষায় মনোযোগী হবার বিকল্প কিছুই নেই। আর তাই এই বিশাল বিপুলা জলরাশি এবং জলজ প্রাণীকুল রক্ষার প্রত্যয়ে আসুন সবাই জলজ পরিবেশ তথা সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং সেচ্ছাচারিতায় মগ্ন হয়ে জলজপ্রাণী ধ্বংস করার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে একটা সুস্থ সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস –এ জল এবং জলজ প্রাণীদের রক্ষা করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
