ঝান্ডিধারা – যেখানে পাহাড়, নদী, অরণ্য সব মিলেমিশে একাকার। স্নো ভিউ পাইনউড কটেজ থেকে হাঁটা দূরত্বে ঝান্ডিধারা ভিউ পয়েন্ট। অসাধারণ এই ভিউ পয়েন্ট থেকে কী দেখা যায় না? ডুয়ার্সে সমতল সবুজের মেলা, শৈলরাজ্য দার্জিলিং ও কালিম্পং, পাহাড়ের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, মহানন্দা নদীর অবারিত বেলাভূমি, উপত্যকার উপর দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জের মনমুগ্ধকর রূপ সবই দেখতে পাওয়া যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ এখানে অনেক মর্মস্পর্শী। মনে হয় হাত বাড়ালেই বুঝি ছোঁয়া যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।
ঝান্ডিধারা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আছে চাঙ্গি জলপ্রপাত। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসছে জলধারা। দুধ সাদা রঙের ফেনা ছড়িয়ে তা বয়ে চলেছে পাথরের গা বেয়ে। নিমিষেই ভিজে যাচ্ছে পাশে পড়ে থাকা পাথরগুলো। সঙ্গে অবিরাম চলছে জলধারা পতনের শব্দতরঙ্গ। জলধারা নেমে এসে পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয়েছে একটি জলাশয়ের। আহ্ কী নিবিড় ঘন সবুজ তার রঙ। পান্নাও বুঝি হার মানে তার কাছে। লোকালয় ছেড়ে গহীন পাহাড়ের মাঝে এমন দৃশ্য একবার দেখলে মনের গভীরে গেঁথে থাকে আজীবন।
রাস্তার উপর শাল সেগুন আর পাইনের লম্বা ছায়া। গা ছমছম করা অরণ্যের গহীনে ঢুকে গেলাম একেবারে। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। দূরে মহানন্দা নদীর উপর ব্রিজ। নদীর ধারে গিয়ে যদি বসতে পারতাম খানিকক্ষণ। মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
ফিরে এলাম সবুজ দু’চালা দোতলা কটেজে। সাদা পাথরের দেয়াল ঘেরা ছোট্ট আঙ্গিনায় ছোট ছোট দুটি দোতলা কটেজ। সবুজ সিঁড়ির কয়েকটি ধাপ পার হয়ে কটেজের ভিতর ঢুকে গেলাম। উপরের ঘরটা বেশি আকর্ষণীয়। উপরে উঠে কাঠের প্যানেল দিয়ে মোড়ানো রুমের ভিতরে জানালার পাশে বেতের চেয়ার নিয়ে বসলাম। সব চুপচাপ। কান খাঁড়া করে বসে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। তারপর নিমিষেই দিগন্ত, আকাশ, চরাচর সব অন্ধকার হয়ে গেল। নৈঃশব্দ্য ভেতরে ঝিম ধরিয়ে দিল। হঠাৎ নাম না জানা পাখি ডেকে উঠতেই শিহরিত হলাম। সব চুপচাপ হতেই দূর অরণ্যের গহীন থেকে ভেসে এলো বন্য প্রাণীর ডাক।
নীরব নিঝুম রাত গভীর হতে চায়। আর সেই নীরবতার গভীরতায় একাকী আমি আরও গভীরভাবে অনুভব করতে লাগলাম নিজেকে, নিজের সত্তায়, নিজের অস্তিত্বতে।
লিখেছেন ডালিয়া হোসেন। প্রাকৃতিক কৃষির পাশাপাশি ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করেন।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
দারুণ লেখা, ভাল্লাগছে ❤
ক্রেডিট গোজ টু রাইটার… :)