যা আছে সেটুকু নয়, যা নেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে যিনি গাছ সংগ্রহ করেন তাঁর বৃক্ষপ্রেম যুক্তিনির্ভর এবং প্রকৃতিজাত। এমনই একজন নিবেদিত বৃক্ষঅন্তপ্রাণ মানুষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। কর্মজীবনের পুরোটাতো বটেই তার সঙ্গে অবসর জীবনটাও তিনি উৎসর্গ করেছেন উদ্ভিদ সংরক্ষণের কাজে। ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনটির জন্য গত দুই দশক ধরে গাছ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে চলেছেন এই প্রবীণ নিসর্গী। পার্বত্যাঞ্চলের বান্দরবান, নাইখ্যংছড়ি থেকে শুরু করে মধুপুরের জঙ্গল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেমা-কালেঙ্গা, সাগরতীরের পটুয়াখালী বা রাজশাহীর কোনো জঙ্গল, যেখানেই নতুন গাছের সন্ধান পেয়েছেন সেখানেই ছুটে গেছেন তিনি। দেশের পঁয়তাল্লিশটিরও বেশি বন থেকে গাছ সংগ্রহ করে উদ্যানটিকে বৃক্ষবৈচিত্রে সমৃদ্ধ করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ২৫ একর আয়তনের এই আঞ্চলিক বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে দেড় হাজার প্রজাতির বিচিত্র সব উদ্ভিদ। ৫০০ প্রজাতির গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছের সাথে আছে ২৭ প্রজাতির পামজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও ৩২ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে অসংখ্য ফল ও ফুলের প্রজাতি। উদ্যানটির এই যে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি তার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বই অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের। সেখানে বৈচিত্রময় ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বিষয়ে শিক্ষা, গবেষণা ও পরিদর্শনের জন্য ২০০৬ সালের দিকে ছোট আকারের যে সুন্দরবনটি গড়ে তোলা হয়েছে সে ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অগ্রগণ্য।
কৃতি এই উদ্ভিদ সেবকের জন্ম ১৯৫০ সালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে। স্থানীয় নুরুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে পাঁচ বছর মেয়াদী বিএসসি কোর্স শেষ করে ১৯৭৪ সালে এমএসসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে একই বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তিনি অবসর গ্রহন করেন। তবে এই অবসর শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাসের পাঠদানেই সীমাবদ্ধ। তাঁর জন্য খোলা রয়েছে বৃক্ষের অবারিত ভুবন। তাই উদ্যান চর্চার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন Plant Conservation and Research Foundation নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অদূর ভবিষ্যতে দেশের বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলো যেন একসাথে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
দেশের উদ্ভিদবৈচিত্র সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তরুপল্লব দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার ২০১৮ অর্জন করায় তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।