আজ ৮ই জুন, বিশ্ব মহাসাগর দিবস । ১৯৯২ সালে মহাসাগরীয় জীববৈচিত্র এবং সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে (আর্থ সামিট) আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসটি পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন কানাডিয়ান প্রতিনিধিদের একটি দল। পরবর্তিতে ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দ্য ওশান প্রজেক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে মহাসাগরীয় জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং বিশ্ব মহাসাগর দিবস উদযাপনের বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে যায়। উক্ত প্রচারণা আর ধরিত্রি সম্মেলনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব মহাসাগর দিবস আন্তর্জাতিকভাবে পালনের ঘোষণা দেয় এবং ২০০৯ থেকে প্রতিবছরের ৮ই জুন সারা বিশ্বব্যাপী বিশ্ব মহাসাগর দিবস পালন করা হয়।
পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকার জন্য মহাসাগরীয় পরিবেশ রক্ষা করা একটি উল্লেখযোগ্য এবং অবশ্যপালনীয় শর্ত। দৈনন্দিন নানাবিধ বিষয়ে আমরা সবাই সাগরের উপর নির্ভরশীল। ঔষধ, খাদ্য এমনকি বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের একটা বিশাল ভান্ডার আমাদের এই সাগর বা মহাসাগরগুলো। কিন্তু প্রতিনিয়ত মনুষ্যসৃষ্ট দূষন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনে মহাসাগরগুলোর পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। প্রতিদিন একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মহাসাগরের প্রতিবেশব্যবস্থা আর সেইসাথে ধ্বংস হচ্ছে মহাসাগরীয় জীববৈচিত্র। এই ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবেই বিশ্ব মহাসাগর দিবস পালন করা হয়।
গোটা পৃথিবীর মৎসভান্ডারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস, গ্রীস্মমন্ডলীয় অঞ্চলে কোরাল রিফগুলোর নিয়মিত ধ্বংস হওয়া ইত্যাদি কোনকিছুই ইতিবাচক প্রভাব ফেলার অপেক্ষা রাখেনা। আর তাই এই অনাগত বিপদ রুখতেই সারা পৃথিবীর নামকরা স্কুল, কলেজ, জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন প্রতি বছর ৮ই জুনের এই দিনে সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে থাকে।
মহাসাগরীয় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর তাই এই বিশাল বিপুলা জলরাশিকে রক্ষা করার প্রত্যয়ে আসুন সবাই পরিবেশ তথা সামুদ্রিক দূষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। এই বিশ্ব মহাসাগর দিবস -এ আমাদের অঙ্গীকার হোক ‘ বাঁচাও পৃথিবী, বাঁচাও মহাসাগর ‘ ।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
