প্রতারণার শিকার হলেন শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী। অদিতি এবং তার বান্ধবীরা মিলে গত ৩০ জুন, ২০১৮ তারিখে রাত ১০ ঘটিকায় শ্যামলী পরিবহন করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং প্রতারণার শিকার হন। একমাত্র শ্যামলী পরিবহন ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস সার্ভিস দেয় সেই খবর পেয়ে তারা শ্যামলীর টিকেট কাটেন। টিকেট কাটার সময় কাউন্টারে কর্মরত ব্যক্তির কাছে বারবার তারা জানতে চেয়েছিলেন সেটা ঢাকা-কলকাতার সরাসরি বাস কিনা কাউন্টারে কর্মরত ব্যক্তিরা আশ্বস্ত করেন এই বাস সরাসরি কলকাতা যাবে। সেদিন রাতেই রওনা দেন তারা। বেনাপোল পর্যন্ত পৌঁছানর পর বেনাপোল বর্ডারে এসে ইমিগ্রেশনের জন্য সকল যাত্রীকে বাস থেকে নামতে বলা হয়। ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস ফরমালিটিস শেষ করে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন এবং বিলম্ব দেখে বাসে কর্মরত সুপারভাইজার কে ফোন দিলে জানানো হয় বাস ওপারে অর্থাৎ হরিদাসপুরে। তারা রওনা হন এবং সাথে থাকা লাগেজ পরিবহনের জন্য বাংলাদেশে কুলিকে ১০০ টাকা এবং ভারতে কুলিকে ২৫০ টাকা দিতে হবে বলে তারা দাবি করলে সে অনুযায়ী তারা টাকাও দেন। আদতে এই সার্ভিসটি বাসের সাথেই সংযুক্ত এবং এর জন্য আলাদা কোন টাকা নেবার কথা নয়।
বাসে উঠে তারা দেখেন আগের সেই বাস না , এবং যে বাস দেওয়া হয়েছে সেটা যথেষ্ঠ নিম্নমানের। বাসে উঠে তারা অভিযোগ করেন যে এ বাসে তাদের যাওয়ার কথা না। তখন অন্য যাত্রী দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে এটা ট্রানজিট বাস এবং অন্যদের কাছ থেকে মূল্য নিয়েছে ১৪০০ টাকা সেখানে অদিতিরা বাসের টিকেট কিনেছেন ১৭০০ টাকা দিয়ে। সাথে সাথে শ্যামলীর হরিদাসপুর কাউন্টারে জানানো হলে তারা জানায় তারা ট্রানজিট বাসের টিকেট দিয়েছে। শ্যামলীর ঢাকার ওই কাউন্টারে গিয়ে অভিযোগ করলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে এবং ওই নিম্ন মানের বাসে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বলে। উপায়ন্তর না দেখে নিম্ন মানের বাস করেই কলকাতা যাত্রা করেন অদিতিরা।হরিদাশপুর কাউন্টার থেকে এটাও জানায় যে “১লা জুলাই, ২০১৮ রবিবার কোন সরসরি বাস শ্যামলী থেকে ছাড়ে না”। প্রতারণার স্বীকার অদিতিরা অন্য যাত্রীর টিকেটের ছবি তুলে নিয়ে আসেন এবং ঢাকা ফেরত আসার পর গত ০৯/ ০৭/ ২০১৮ তারিখে শ্যামলীর আরামবাগ কাউন্টারে গিয়ে অভিযোগ জানান এবং তখনও হয়রানির স্বীকার হন। অভিযোগকালীন সময়ে কাউন্টারে কর্মরত লোকজন অশোভন আচরণ করে। এসময় কাউন্টার ম্যানেজারও বাজে কথা এবং আচরণ করতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি পুলিশকে ডাকতে বাধ্য হন।
পুলিশ আসার পর প্রতি টিকিটের অতিরিক্ত ৩০০ টাকা করে মোট ৯০০ টাকা ফেরত দিতে চাইলে সে টাকা গ্রহণ না করে এ ধরণের হয়রানি যেন অন্য কোন যাত্রীর ভুগতে না হয় সেজন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য যাত্রী। মতিঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পেয়ে কাউন্টার ম্যানেজার দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক যাত্রীর অভিযোগ ও এজাহার দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আদতে ঢাকা থেকে একমাত্র ‘শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস’নামে বিআরটিসির ব্যানারে হুন্দাই বাস সরাসরি কলকাতা যায়। এছাড়া অন্য কোন বাস কলকাতা যায় না। শ্যামলী ছাড়াও সোহাগ, গ্রীনলাইন, হানিফ, এসআলম, সৌদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, ঈগল, রয়েল, ন্যাশনালও সরাসরি কলকাতা পৌঁছে দেবে এমন প্রতিশ্রুতিতে যাত্রীদের বাসে তুলে তারা। পরে বেনাপোল নামিয়ে দিয়ে ভারতের আরেকটি লোকাল বাসে তুলে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী অদিতি জানান, শ্যামলী এসপি প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীর সঙ্গে এই রকম প্রতারণা করছে বলেই তিনি থানা পর্যন্ত অভিযোগ দিলেন।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।