গ্রীষ্মের দাবদাহের পর বৃষ্টির পানি পেয়ে রুক্ষ প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষায় সবুজ প্রকৃতি হয়ে ওঠে আরও বেশি সবুজ আর সতেজ। আর তাই ভ্রমনপিয়াসিদের ঘরে বসে থাকা দায়। প্রকৃতি যেমন সুন্দর তেমনি অন্যদিকে রয়েছে তার ভয়াল রুপ। বর্ষায় ভ্রমণে ঘটতে পারে নানান ধরণের দুর্ঘটনা আর তাই বর্ষায় ভ্রমণে সাবধান থাকা জরুরী। পাহাড়ি এলাকায় হতে পারে ভুমিধস, হতে পারে আকস্মিক বন্যা। তাই জেনে নিন বর্ষায় ভ্রমণে কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
১। কোথাও যাবার আগে জেনে নিন আবহাওয়ার খোঁজ। খুব বেশি ঝড়/ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ভ্রমণ বাতিল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সমুদ্রে যেতে চাইলে জেনে নিন কোন বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে কিনা। আপনার ভ্রমণের সময়ে, ভ্রমণের স্থানে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে কিনা খোঁজ নিন। জেনে নিন আশেপাশের আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ।
২। হয়তো বৃষ্টি উপভোগ করতেই বেড়াতে বের হচ্ছেন আপনি। তবুও সাথে রাখুন ছাতা, কিংবা বৃষ্টি প্রতিরোধক জ্যাকেট। অতিরিক্ত শুকনো কাপড় এবং জুতা সাথে নিন। বৃষ্টি প্রতিরোধক ব্যাগ বা ড্রাই ব্যাগ বা জীপলক ব্যাগে রাখুন আপনার মুল্যবান ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র। জামাকাপড় শুকনো রাখার জন্য মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে নিন।
৩। যেখানে সেখানে বদ্ধ জলের কারণে বর্ষাকালে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাই সাথে নিয়ে নেবেন মশা প্রতিরোধী কোন ক্রিম। ভ্রমণে একটি ফার্স্ট এইড বক্স সাথে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
৪। পাহাড়ে বা ঝরনায় ধীরে-সুস্থে, দেখে-শুনে পা ফেলুন। বৃষ্টির পানিতে পাথুরে বা মাটির পথ পিচ্ছিল হয়ে যায়। তাই ওঠা বা নামার সময় পথের দিকে মনোযোগী থাকা জরুরি। ঝরনার একেবারে কাছে কিংবা পাহাড়ের কিনারে ফেরার থেকে বিরত থাকুন।
৫। বর্ষার সময়টাতে পানি এবং খাবারের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। জমানো পানি বা ঝরনার পানি না খাওয়াই ভালো তাই সম্ভব হলে বিশুদ্ধ পানির বোতল সাথে রাখুন। ডায়েরিয়া হয়ে নষ্ট হতে পারে ভ্রমণের আনন্দ। বর্ষায় ভ্রমণে রোগ জীবাণু ও পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব এড়াতে নোংরা কাদা-পানি না মাড়ানোই ভালো।
৬। ঝরনা, নদী, হাওর বা সমুদ্রে গিয়ে অতিরিক্ত সাহস বা উত্তেজনা দেখাবেন না। সাঁতার জানা মানুষও দীর্ঘদিনের অনাভ্যাসে পানিতে নামলে ডুবে যেতে পারে তাই পানিতে নামতে চাইলে পাড়ের কাছাকাছি থাকুন এবং জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট পড়ুন। বিগত বছরগুলোতে ঝরনায় বা নদীতে বা সমুদ্রে ডুবে বে কয়েকজন দর্শনার্থী মারা গেছেন জা মোটেও কাম্য নয়। আপনার আমদের জন্য ভ্রমণ যেন আপনার পরিবারের কষ্টের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
৭। ভ্রমণ থেকে ফিরে এসে জ্বর হলে অবহেলা না করে অতিসত্বর ডাক্তার দেখান।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।