ভয়ংকর শীতল সাতটি ভ্রমণ গন্তব্য। ঘুরোঘুরির সাথে উষ্ণতার একটা সম্পর্ক থেকেই যায় সবসময়। সূর্যস্নান, রৌদ্রোজ্জ্বল দিন দেখে ক্যাম্পিংয়ে বেরিয়ে পড়া কিংবা বালিয়ারির বুক চিরে চলে যাওয়া কাফেলার সাথে সোনালী উষ্ণতার খোঁজে বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে প্রায় সবারই। এতসব উষ্ণতার খুঁজোখুঁজির ভীড়েও অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ভাবনা পুরোপুরি শীতলতার আবরণে ঢাকা। বরফ শীতল প্রান্তরে স্কি, প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে যেতে যেতে ক্যাম্পিং, তুষারের বল নিয়ে হুড়োহুড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়েই তাদের যত সমস্ত ঘুরোঘুরির পরিকল্পনা। আমি নিজেও এই হিমহিম ঘুরোঘুরির ভবঘুরেদের দলে আর তাই, আমারই মত জমাট শীতলতার ভীরে হারিয়ে যেতে চাওয়া মানুষগুলোকে আরো একটু নাড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই ভয়ংকর শীতল সাতটি ভ্রমণ গন্তব্য আজকের এই তালিকা গল্প।
দারুণ সুন্দর এই পৃথিবীটার চোখ ধাঁধানো নৈসর্গের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রচন্ড খরতাপ আর নিদারুণ উষ্ণতায় উষ্ণ অঞ্চল যেমন কম নেই তেমনি হাঁড় কাপানো শীতের আঁচড় কিংবা জমে বরফ হয়ে যাওয়ার মত জায়গাও নিতান্তই কম তো নয়ই বরং একটু বেশী রকমের বেশী। তবে দুঃখের বিষয় হল, এই ভয়ংকর শীতল সাতটি ভ্রমণ অঞ্চলগুলোর তালিকার অধিকাংশতেই অবাধ বিচরণের সুযোগ সবার নেই কিংবা উপযুক্ত প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এটুকু পড়া শেষ করেই মন খারাপের কোন কারণ নেই। এসব অসম্ভব কিংবা দুর্গম জায়গাগুলোকে তাদের মত থাকতে দিয়ে আসুন আমরা জেনে নেই এমন সাতটি জায়গার কথা যেখানে হাঁড় কাঁপানো অনুভূতির সাথে তাল মিলিয়ে জমজমাট ভ্রমণ আর হুড়োহুড়িতে কাটিয়ে দেয়া যায় দিনের পর দিন।
অ্যান্টার্কটিকা। ছবিঃ সংগৃহীত
১। অ্যান্টার্কটিকাঃ পৃথিবীর দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দুটা যেখানে গিয়ে মিশেছে, ঠিক সেখানটায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের গ্রহের সবচেয়ে দূরের মহাদেশটার নাম অ্যান্টার্কটিকা। সারা বছর কমবেশী ১.৯ কিলোমিটার (৬,২০০ফুট) পুরু কঠিন বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা পড়ে থাকা, ভয়ংকর শীতল মরু হিসেবে খ্যাত এই মহাদেশের তাপমাত্রা -৬৩ ডিগ্রী থেকে -৮৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে দেখা যায় যা হিমাঙ্কের অনেক নিচে। বরফ শীতল প্রকৃতি আর প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ প্রতিকুল আবহাওয়ার জন্য এই মহাদেশের অনেক কুখ্যাতি থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী এবং দুর্ধষ অভিযাত্রীদের কাছে অ্যান্টার্কটিকা সবসময়ই একটি দারুন আকর্ষন। কি আছে এই মহাদেশে এটা জানার চেয়েও বড় প্রশ্ন হয়ত হতে পারে কি নেই এখানে!!! প্রচন্ড প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে ঠিকে থাকা ছোট ছোট উদ্ভিদ এবং প্রানীকূল, তপ্ত আগ্নেয়গিরি, সুউচ্ছ শৃঙ্গ, বরফে ঢাকা লেক, প্রাচীন জীবাস্ম ইত্যাদি অনেক কিছুর সমারোহপূর্ণ অ্যান্টার্কটিকা হতে পারে যেকোন পর্যটকের কাছে সেরা একটি গন্তব্য।
নারসারসোয়াক, গ্রীনল্যান্ড। ছবিঃ সংগৃহীত
২। নারসারসোয়াক, গ্রীনল্যান্ডঃ ১৯৪১ সালে নির্মিত ছোট্ট একটা এয়ারপোর্টকে ঘিরে গড়ে উঠা গ্রীনল্যান্ডের একটা গ্রামের নাম নারসারসোয়াক। ট্রেকার, শখের নাবিক আর প্রাচীন জলদস্যুদের উপর গবেষণারত মানুষদের কাছে পরম কাঙ্খিত এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য ট্রেইল। স্থানীয় ম্যাপে চিহ্নিত যেকোন ট্রেইল ধরে বেরিয়ে পড়তে এখানে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে রওনা দেয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে কোন ট্রেইল কতটা কঠিন এবং ঝুকিপূর্ণ। বিভিন্ন রঙে চিহ্নিত করা একটা একটা ট্রেইল বা পথের ধরণ এক এক রকম। কোনটা খুব সহজ আবার কোনটা ভয়ংকর রকমের কঠিন। এত এত ট্রেইল, ৩০০ মিটার উঁচু পর্বত শৃঙ্গ, লেক, নারসারসোয়াক হিমবাহ, রঙ্গীন সব ফুলে ভরা উপত্যকার হাতছানিতে যখন তখন নারসারসোয়াকের পথে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করলেও প্রচন্ড শীতল তাপমাত্রার কারণে চাইলেই বছরের যেকোন সময়ে এখানে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর তাই অস্থির মনটার লাগামটা একটুখানি টেনে ধরে ঝাপিয়ে পড়ুন তথ্য সংগ্রহে। আর সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সঠিক সময় বুঝে বেরিয়ে পড়ুন গ্রীনল্যান্ডের এই ছোট্ট গ্রামের রাস্তায়।
রোভানিমে, ফিনল্যান্ড।ছবিঃ সংগৃহীত
৩। রোভানিমে, ফিনল্যান্ডঃ সানটাক্লসের বাড়ি হিসেবে খ্যাত ল্যাপল্যান্ডের প্রসানিক রাজধানী রোভানিমে ফিনল্যান্ডের একটা সাজানো সুন্দর শহর। যদিও শীতের মাঝামাঝি সময়ে রোভানিমের তাপমাত্রা হিমাংকের অনেক নিচে নেমে যায় তারপর ক্রিস্টমাস উদযাপনের নেশায় অসংখ্য মানুষের কাছে রোভানিমের আবেদন অনেক। আলোক ঝলমলে সানটা থিমপার্কের জন্য বিখ্যাত হলেও রোভানিমের রয়েছে আরো বেশ কিছু আকর্ষন। আর্কটিক সার্কেলে অবস্থানের কারণে রোভানিমে এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলের রয়েছে এক অবাক করা প্রাকৃতিক বিষয় আর তা হল, এখানে গ্রীষ্মের সময় অন্তত একদিন সূর্যাস্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই এবং একইভাবে শীতের সময় কোন একদিন পুরো চব্বিশ ঘন্টায় সূর্যের ঘুম ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনাও নেই। আর তাই মাঝরাতে সূর্যালোক উপভোগ করা কিংবা অনন্ত রাত্রির অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য রোভানিমে নিঃসন্দেহে সেরা একটা গন্তব্য। এতসব কিছুর পরেও যেটা সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় তা হল অরোরা এবং কামোস। শীতের আঁধার রাতের আকাশে নাচতে থাকা বর্ণীল অরোরা বা মেরুজ্যোতির আলো আর তুষারের উপর ছড়িয়ে থাকা স্বর্গীয় নীল কামোসের আলোয় ভরে থাকা রোভানিমে এক কথায় অসাধারণ।
লংগেয়ারবাইন, নরওয়ে।ছবিঃ সংগৃহীত
৪। লংগেয়ারবাইন, নরওয়েঃ আর্কটিক সাগরের বরফ শীতল, রুক্ষ পার্বত্য দ্বীপপুঞ্জ স্ভালবার্ড এর সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল লংগেয়ারবাইন। ২০০০ মানুষের বসবাস এই দ্বীপের তাপমাত্রা প্রায় সারা বছরই হিমাংকের নিচে অবস্থান করে। মূলত কয়লা খনির জন্য বিখ্যাত হলেও পর্যটকদের আনাগোনাও নেহায়েৎ কম নয় এখানে। প্রায় পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য ট্রেইল আর পর্বতের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়ার জন্য এই জনবিরল অঞ্চলের জুড়ি মেলা ভার। জমে যাওয়া হিমহিম ঠান্ডার কথা বাদ দিলে হাইকিং, স্নো মোবাইল সাফারি, ডগ স্লেজিং, ফ্যাট বাইকিং, কায়াকিং কি নেই এখানে! গ্লোবাল সীড ভল্ট হিসেবে খ্যাত পৃথিবীর একেবারের উত্তরপ্রান্তের এই অঞ্চলের সবচেয়ে অবাক করা ব্যপার হল, এখানে অক্টোবরের শেষের দিক থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত পুরো চার মাস একবারের জন্যেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়না। অতএব, অনন্ত রাত্রির স্বাদ পেতে চাইলে অবশ্যই যে কারো অনন্ত একবারের জন্য হলেও লংগেয়ারবাইন ঘুরে আসা উচিত। তবে অবশ্যই হাঁড় জমে যাওয়া শীতের কথাটা মাথায় রেখেই!! লংগেয়ারবাইনে ঘুরোঘুরির সময় আরো একটা বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরী আর তা হল, তুষার ভালুকের আক্রমণ। সাথে থাকা রাইফেলটা ঠিকঠাক আছে কিনা জেনেই ঘরের বাইরে বের হওয়াটা এখানে ঘুরোঘুরির অনেক বড় একটা শর্ত।
আবিস্কো, সুইডেন।ছবিঃ সংগৃহীত
৫। আবিস্কো, সুইডেনঃ সুইডেনের বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর মাঝে আবিস্কো সর্বাধিক পরিচিত তার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য। স্টকহোম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় আবিস্কো স্টেশন। আর এই আবিস্কো স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠা আবিস্কো গ্রাম। আইস হোটেল, রেইনডিয়ার স্লেজ, লেক ইত্যাদি ছাড়াও আবিস্কোর মূল আকর্ষণ আবিস্কো ন্যাশনাল পার্ক আর অসংখ্য ট্রেইল। কুংস্লেডেন অথবা কিংস ট্রেইল নামে পরিচিত ৪৪০ কিঃমিঃ দীর্ঘ এই ট্রেইল সুইডেনের সবচেয়ে দীর্ঘতম হাইকিং ট্রেইল হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও অসংখ্য পর্বত আর সুদীর্ঘ ট্রেকিং রুটের জন্য বিখ্যাত আবিস্কোতে আপনি চাইলে মেরুজ্যোতি কিংবা অরোরা দেখার ব্যবস্থাটাও করে নিতে পারেন খুব সহজেই। তবে সবকিছুর উপরে একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে যেন ভুলবেন না তা হলো, যত সহজেই পৌঁছানো যাক না কেন, আবিস্কোর তাপমাত্রাও কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের শীতল..!!
মাউন্ট ডেনালি, আলাস্কা। ছবিঃ সংগৃহীত
৬। মাউন্ট ডেনালি, আলাস্কাঃ উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ শিখর এবং সেভেন সামিটের মাঝে সবচেয়ে উত্তরের চূড়া হিসেবে খ্যাত মাউন্ট ডেনালি সারা পৃথিবীর পর্যটক এবং পর্বতারোহীদের কাছে সবসময় জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত মাউন্ট ডেনালির সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে তার নাম পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলির নামানুসারে ১৯১৭ সালে এই পর্বতের নামকরণ করা হয় মাউন্ট ম্যাককিনলি। কিন্তু পরবর্তিতে ২০১৫ সালে মাউন্ট ডেনালিকে আবার তার পুরোনো নাম ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে নাম যাই হোক, দক্ষ পর্বতারোহীদের পদচারণায় মুখর আলাস্কার এই পর্বতে পর্বতারোহণ ছাড়াও রয়েছে নানান সব আকর্ষনীয় বিষয়। ডেনালি ন্যাশনাল পার্কের অলিগলি ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে বাস ট্যুর, বিপুল সংখ্যক হাইকিং ট্রেইল, হোয়াইট ওয়াটার রাফটিং, ডেনালি ওয়াইল্ডলাইফ সাফারি, ফটোগ্রাফি ট্যুর ছাড়াও অসংখ্য উপকরণের ভীরে হিম শীতল মাউন্ট ডেনালি এক কথায় অসাধারণ।
হর্ণসটান্ডিয়ার নেচার রিজার্ভ, আইসল্যান্ড। ছবিঃ সংগৃহীত
৭। হর্ণসটান্ডিয়ার নেচার রিজার্ভ, আইসল্যান্ডঃ আইসল্যান্ডের একেবারে উত্তরপ্রান্তে সবচেয়ে দূরবর্তী এবং বিশাল এই নেচার রিজার্ভের অবস্থান। শীতের সময়টুকুতে তাপমাত্রা বিয়োগের ঘরে (-১.৪ সেলসিয়াস) থাকলেও বছরের অন্য সময়গুলোতে এই রিজার্ভের আসল রুপ দেখা যায়। সবুজের চাদর আর অজস্র রঙ্গীন ফুলের চাদর গায়ে শুয়ে থাকা এই রিজার্ভের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য হাইকিং বা ট্রেকিং ট্রেইল। যেখানে অবাধ বিচরণের সুযোগটাও সবার জন্য উম্মুক্ত। ২৬০ ধরনের ফুল, ৩০ প্রজাতির পাখি, সিল আর তুষার ভালুকের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত এই রিজার্ভে তুষারপাত এবং আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি নিত্যদিনের বিষয়। অতএব, হর্ণসটান্ডিয়ার নেচার রিজার্ভকে পুরো মাত্রায় উপভোগ করতে হলে অবশ্যই আপনার সাথে তাবু, শীতের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং খাবার দাবার, রেইনকোট ইত্যাদি যেমন জরুরী তেমনি পথ হারিয়ে পথে পথে ঘুরার আশংকাটুকু কাটিয়ে উঠার জন্য আপনার সাথে লোকাল ম্যাপ, দিকদর্শন যন্ত্র কিংবা জিপিএস ডিভাইস থাকাটাও খুবই জরুরী।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।