সাইরু হিল রিসোর্ট। ভাবুন তো আপনি সাঁতার কাটছেন এমন এক সুইমিংপুলে যেটি কিনা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে, যেখানে দাঁড়িয়ে দিগন্ত জুড়ে ঢেউ খেলা পাহাড়ের ভাজ ও শুভ্র মেঘের সমুদ্র দেখতে পাচ্ছেন। হ্যাঁ, এমনি এক লাক্সারী রিসোর্ট- সাইরু হিল রিসোর্ট যেটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
শহর থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূরে নীলগিরি রোডে ওয়াই জংশন আর্মি ক্যাম্পের পাশেই সাইরু হিল রিসোর্ট এর অবস্থান হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে একদমই ভাবার অবকাশ নেই। যে কোন ছুটির দিন বন্ধু, আত্মীয়, পরিবার কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ভিউসমৃদ্ধ এই রিসোর্ট থেকে।
এ যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলা।
আশেপাশের পাহাড়গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পাহাড়টিতে গড়ে উঠা সাইরু হিল রিসোর্ট -এ যে কোন ঋতুতে গেলেই ভাল লাগবে। যদিও ভ্রমণ করে এসেছেন এমন অতিথিদের মতে বর্ষাকাল হচ্ছে সাইরু হিল রিসোর্ট ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময়। তবে, শীতকালেও সাইরু হিল রিসোর্ট -এর সৌন্দর্য অসাধারণ। শীতের সময় এখানে গেলে মনে হবে কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে কেউ আপনাকে। ঠিক তাই, সকালে ঘুম ভেঙে বিছানায় বসেই দেখবেন টেরেসের দরজায় কেউ উঁকি দিচ্ছে। না! না! ভয় পাবার কোন কারণ নেই, উকি দিচ্ছে একগুচ্ছ শুভ্র মেঘের বাহার যারা আপনাকে সাত সকালে শীতল করে দিতে হুড়মুড়িয়ে গড়িয়ে পড়তে চাইছে। দরজা মেললেই তাদের সাথে হবে আপনার আলিঙ্গন। তারপর দেখবেন পুরো রুম জুড়েই মেঘদলের সাথে আপনার বসবাস। একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো এমন দৃশ্যপট, এখুনি ছুটে যেতে মন চাইছে তো! আর দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন সাইরু হিল রিসোর্ট ভ্রমণ পরিকল্পনা।
ইউনিক ডিজাইন এর বাথটাব সহ সুবিশাল বাথরুম।
প্রেমময় ইতিহাসে গড়া ” সাইরু হিল রিসোর্ট ” এর নামকরণের পেছনের একটি গল্প আছে। দীর্ঘদিন আগে, বান্দরবান জেলার দূরবর্তী অঞ্চলে এক পাহাড়ী বংশের রাজার কন্যা ছিল যার নাম ছিল সাইরু। সে এক যুবক যে কিনা অন্য গোত্রের এক রাজপুত্রের সঙ্গে প্রেমে মগ্ন ছিল। প্রেম তো কোন সীমানা বা সীমাবদ্ধতা জানে না। অবশেষে প্রবীনরা এব্যাপারটা জেনে যায় এবং এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে যায় যে তারা এটাকে শেষ করার জন্য চরম পদক্ষেপ নিয়ে নেয়। তখন যুবকটি দ্রুত তার গোত্রের অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এদিকে সাইরু এই ঘটনায় এতটাই কষ্ট পায় যে নিঃসঙ্গ সাইরু দুঃখে একদিন নির্জন জঙ্গলের পথে একদিন একা একা বেড়িয়ে পড়ে। বলা হয় যে সাইরু সেখান থেকে আর কোনদিন ফিরেনি।
দুজনে নিরিবিলি একটা বেলা এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ না।
সাইরু হিল রিসোর্ট এর কাছেই মুকুট পাহাড় নামে পরিচিত একটি জায়গায় দুটি গাছ রয়েছে যা সাইরু আর ঐ যুবকের ভালবাসার স্মৃতি বহন করে চলেছে আজও। এখন সেই জায়গাটি সাইরু পয়েন্ট হিসাবে পরিচিত। রহস্যময় এবং অদ্ভুত প্রেমের এই গল্পের চরিত্রের নামেই সাইরু হিল রিসোর্ট এর নামকরণ করা হয়। নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে এর ছায়ায় বসে উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির সতেজতা।
সাইরু হিল রিসোর্ট এর সাংগু ভিউ এবং সাংগু ভিউ উইথ টেরেস রুম থেকে সাংগু নদী পর্যবেক্ষণ করা যায়। টেরেসে বসে সকলে মিলে আড্ডায় মেতে কাটানো যায় অনেকটা সময়। এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমগুলো থেকে পাহাড়ের ভাজগুলো সুন্দর দেখতে লাগে, একের পিঠে এক যেন সারিবদ্ধভাবে সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে সাজিয়েছেন। এছাড়া গ্রুপ কটেজ গুলোয় গ্রুপ একসাথে থাকার মজা পাওয়া যায়।
এইখানে বসে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যাবে একটি বেলা।
সাইরু হিল রিসোর্ট এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে এর রেস্টুরেন্টের ওপেন টেরেস। নিমিষেই বেলা কাটিয়ে দেয়া যায় এখানে। এছাড়াও ভাল লাগে সুইমিংপুল এরিয়ার ক্যাফে করিডোরে সময় কাটাতে। সাঝবেলাতে পুরো রিসোর্টটা একবার ঘুরতে ভুলবেন না যেন। অদ্ভুত কিছু পাখির ডাক, ঝিঝি পোকার আওয়াজ মুগ্ধ করবে আপনাকে। দিনের বেলা অবশ্য আপনাকে মুগ্ধ করতে রয়েছে বাকবাকুম ডাক দেয়া অজস্র পায়রা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকতে দেখবেন রঙিন প্রজাপতি আর এদের আকার দেখে এতটাই অবাক হবেন বলার মত নয়। আরেকটু খোঁজাখুঁজি করলে কিন্তু ইয়া বড় মৌমাছির চাকও দেখতে পাবেন।
প্রকৃতিতে মিশে যাওয়া অদ্ভুতভাবে।
নিজস্ব আর্কিটেকচার ফার্ম থাকায় স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য উদাহরণ ধরা যায় সাইরু হিল রিসোর্ট কে। রেস্টুরেন্ট, অভ্যর্থনা স্থান এবং প্রত্যেকটি রুমের ডেকোরেশন এক কথায় মন ভুলানো। বিশেষ করে এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমের ইউনিক ডিজাইন এর বাথটাব সহ সুবিশাল বাথরুম সত্যিই রোমান্টিক করে তুলবে আপনাকে। আর টেরেস এর কথা নাইবা বললাম, এতোটা খোলামেলা আর সুন্দর পরিপাটি যে এখানে বসে এক কাপ চা চমৎকার এক মূহুর্ত তৈরি করবে নিশ্চিত। ভোরবেলা সুর্যোদয় আর সাঝবেলায় সুর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য আপনার চিরকাল স্মরণ থাকবে বৈকি।
সাইরু হিল রিসোর্ট -এর কলাকৌশলীদের আন্তরিকতা আপনার সবচেয়ে ভাল লাগবে। অমায়িক ব্যবহার আর দ্রুত সেবা দেয়ার প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তোলা এবং বয়স্কদের রুমে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে গো-কার্ট এর ব্যবস্থা। এদের মোট ২৯ টি রুমে সার্বক্ষনিক সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত রুমসার্ভিসের ব্যবস্থা। রয়েছে নিজস্ব পার্কিং এবং ড্রাইভারদের থাকার সুবিধাবলী।
সাইরু হিল রিসোর্ট এ কিভাবে যাবেন এবং যাওয়া-আসার খরচ:
১। ঢাকা থেকে সবচেয়ে সহজে বাসে যেতে পারেন সরাসরি বান্দরবান। যেখানে জনপ্রতি খরচঃ
- নন এসি বাস (শ্যামলী/হানিফ/সৌদিয়া পরিবহন) (হিনো ২/২ সিট)- ৬২০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
- নন এসি বিজনেস ক্লাস বাস (সেন্ট মার্টিন পরিবহন) (হিনো ১/২ সিট)- ৬৫০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
- এসি ইকোনমি ক্লাস বাস (শ্যামলী/সেন্ট মার্টিন পরিবহন) (হিনো ২/২ সিট)- ৯৫০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
- এসি বিজনেস ক্লাস বাস (শ্যামলী/সেন্ট মার্টিন/দেশ/হানিফ পরিবহন) (হুন্দাই/ভলভো ১/২ সিট)- ১৪০০/১৫০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
২। ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে পারেন তারপর সেখান থেকে সিএনজি তে বদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এসে বান্দরবানগামী পুর্বাণী/পুরবী নন এসি বাসে সরাসরি বান্দরবান আসতে পারেন।
- আন্তঃনগর ট্রেনে ক্লাস ভেদে সর্বনিম্ন ৩৪৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৭৯ টাকা ভাড়া রয়েছে।
- সিএনজি জনপ্রতি ২০/৩০ টাকা
- পুর্বাণী/পুরবী বাস জনপ্রতি ১২০ টাকা
৩। ঢাকা থেকে বাই এয়ার চট্টগ্রাম যেতে পারেন তারপর সেখান থেকে রিজার্ভ এসি প্রাইভেট/মাইক্রোতে সরাসরি সাইরু রিসোর্ট যেতে পারেন।
- প্রাইভেট/নোয়াহ/হাই-এইস রিজার্ভ – ৫৫০০/৬০০০ টাকা
বাস বা ট্রেন ব্যবহার করে যারা আসবেন তারা বান্দরবান শহর থেকে যেভাবে যাবেন সাইরুতেঃ
- ২-৪ জন হলে সিএনজি নিতে পারেন- ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
- ৫-৭ জন হলে ল্যান্ড ক্রুইজার নিতে পারেন- ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
- ৮-১৩ জন হলে মাহেন্দ্র খোলা জীপ নিতে পারেন- ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
চাইলে নিজস্ব গাড়ী নিয়ে সাইরু হিল রিসোর্ট এ ভ্রমণ করতে পারেন সেক্ষেত্রে ডিজেল চালিত ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ী হওয়া উচিত এবং অবশ্যই পাহাড়ী রাস্তায় চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে নতুবা নিজস্ব গাড়ীতে না আসাই নিরাপদ।
সাইরু হিল রিসোর্ট এ কি খাবেন/কেমন খরচ: সাইরুর রয়েছে সুবিশাল রেস্টুরেন্ট এন্ড ওপেন টেরেস। যেখানে আপনি প্রায় ৭ ধরনের স্ন্যাক্স/ব্রাঞ্চ, ৫ ধরনের স্যুপ, ২০ ধরনের দেশী খাবার, ৫ ধরনের খিচুড়ি/বিরিয়ানি, ১২ ধরনের চাইনিজ আইটেম, ১০ ধরনের বার-বি-কিউ আইটেম, ১৬ ধরনের বেভারেজ আইটেম, ৫ ধরনের ডেজার্ট আইটেম ও কয়েক ধরনের সিজনাল জুস রয়েছে। এছাড়াও ১১ ধরনের ট্র্যাডিশনাল আইটেম রয়েছে তাদের সমৃদ্ধ মেন্যুতে।খরচটা তুলনামূলক বেশি মনে হলেও খাবারের জায়গা আর স্বাদের কাছে হার মানবে। সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরী খাবারগুলো স্থানীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়। ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে একজনের ভালমত লাঞ্চ/ডিনার হয়ে যাবে।
সাইরু হিল রিসোর্ট এর আশেপাশের ঘুরাফেরার জায়গা এবং ঘুরার খরচ: রিসোর্ট এ তো থাকতে যাবেনই সাথে যদি আশেপাশের ভ্রমণস্থানসমূহ বেড়িয়ে আসা যায় তো মন্দ কি। ঘুরে আসতে পারেন- নীলগিরি, চিম্বুক, শৈল প্রপাত, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, নীলাচল। এছাড়া সাংগু নদীতে নৌ ভ্রমণ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে অবশ্য ২/৩ টি ঝর্ণার দেখা মিলবে তার মধ্যে রয়েছে বান্দরনী এবং স্রোতস্বিনী ঝর্ণা।
- সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে সবগুলো জায়গা ঘুরতে খরচ হবে ৩০০০-৩৫০০ টাকা
- ল্যান্ড ক্রুইজার/মাহেন্দ্র জীপ এ সবগুলো জায়গা ঘুরতে ৬৫০০-৭০০০ টাকা
- সাংগু নদী নৌকায় ২/৩ ঘন্টা রিজার্ভ ঘুরতে ১২০০-১৫০০ টাকা
ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনার, বার-বি-কিউ, ঐতিহ্যবাহী খাবার, দর্শনীয় স্থান বেড়ানো, রিজার্ভ জীপ, প্রবেশ ফী, ফানুস, গাইডেন্স ও আরও আকর্ষণীয় নানান কিছু নিয়ে রয়েছে সাইরু হিল রিসোর্ট এর আকর্ষণীয় সব প্যাকেজ অফার।
- ৭৯৯০ টাকা জনপ্রতি – এক রুমে ১০ টি সিংগেল বেড এ ১০ জন শেয়ারিং যা ফ্রেন্ডস বা ফ্যামিলি গ্রুপের জন্য প্রযোজ্য।
- ৮৯৯০ টাকা জনপ্রতি – এক রুমে এ ৩ টি সিংগেল বেড এ ৩ জন শেয়ারিং যা ছোট পরিবার বা বন্ধুদের জন্য প্রযোজ্য।
- ১২৯৯০ টাকা জনপ্রতি – এক রুমে এ ১ টি কাপল বেড এ ২ জন শেয়ারিং কাপলদের জন্য প্রযোজ্য।
যে সকল ভ্রমণস্থান রিজার্ভ জীপে বেড়ানো হবে:
- নীলগিরি
- নীলাচল
- স্বর্ণ মন্দির
- শৈল প্রপাত
- মেঘলা
- চিম্বুক
- মিলনছড়ি
ট্যুর এর ব্যাপ্তি: ১ রাত, ২ দিন
খাবার মেন্যু:
- ১ম দিন:সকালের নাস্তা: খিচুরি, ডিম ভুনা, চাটনি, চা, মিনারেল ওয়াটার অথবা পরটা, সবজি, ডিমের ওমলেট, চা, মিনারেল ওয়াটার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, রুই মাছ/মুরগির মাংস, ভর্তা, সবজি/শুটকি, ডাল, মিনারেল ওয়াটার।
রাতের খাবার: (ঐতিহ্যবাহী খাবার) বাতাবি রাইস, কোরাল মাছ, চিকেন চাটনি (বিশেষভাবে তৈরিকৃত মুরগী), গ্রীল্ড ভেজিটেবল, ডাল, মিনারেল ওয়াটার।
- ২য় দিন:সকালের নাস্তা: (বুফে নাস্তা) পরটা, সবজি, ডিম দুই প্রকার, বুটের ডাল, ফল, হালুয়া, কেক, ব্রেড, জেলি, বাটার, চা, কফি।
দুপুরের খাবার: (ঐতিহ্যবাহী ও দেশী খাবার-পাহাড়ী স্টাইল) (১৪ আইটেম), সাদা ভাত, আলু ভর্তা, টমেটো ভর্তা, বেগুন ভর্তা, শাকভাজি, পাহাড়ী সবজি, শুটকি, ব্যম্বু চিকেন, ছোট মাছ ফ্রাই, বড় মাছ ফ্রাই, ডাল গুগরি, সঞ্জি, পানি সরবর, সালাদ, মিনারেল ওয়াটার।
রাতের খাবার: পরটা (আনলিমিটেড), চিকেন বার-বি-কিউ, চিকেন উইথ ডাল, সফট ড্রিংকস, রাশিয়ান সালাদ, মিনারেল ওয়াটার।
ট্যুর এর বিস্তারিত:
যাত্রার দিন:
রাত ১১ টার বাসে ফকিরাপুল কাউন্টার হতে বান্দরবান এর উদ্দেশ্যে যাত্রা
১ম দিন:
* সকাল ৯ টার মধ্যে বান্দরবান পৌছে ফ্রেশ হওয়া
* সকাল ১০ টার মধ্যে নাস্তা করে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া
* প্রথমে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ
* সেখান থেকে ফিরে ১১ টার মধ্যে স্বর্ণ মন্দির ভ্রমণে যাওয়া
* দুপুর ১২ টার মধ্যে ঘোরা শেষ করে দুপুরের খাবারের স্থানে পৌছানো
* দুপুর ১ টার মধ্যে খাওয়া শেষ করে সাইরুর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া
* সাইরুতে অবস্থান, ফ্রী টাইম, সুইমিংপুল এ ঝাপাঝাপি
* রাতের খাবার, পরিচিতি পর্ব এবং রাত্রি যাপন
২য় দিন:
* সকাল ১০ টার মধ্যে নাস্তা সেরে নেওয়া
* সাইরু রিসোর্ট ঘুরে দেখা
* দুপুর ১২ টার দিকে চেক আউট করা এবং নীলগিরির উদ্দেশ্যে যাত্রা
* দুপুর ১ টার মধ্যে নীলগিরি পৌছানো এবং ২ টার মধ্যে ঘোরা শেষ করে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া।
* পৌঁছে দুপুরের খাওয়া সম্পন্ন করা
* খাওয়া শেষে নীলাচলে সুর্যাস্ত উপভোগ করতে যাওয়া
* সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে বার-বি-কিউ আয়োজনে সামিল হওয়া এবং ফানুস উড়ানো
* রাত ৯ টার সময় বাসে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা
* পরদিন সকাল ৬ টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানো
সাইরু খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় বুকিং এর ক্ষেত্রে এক মাস পুর্বে যোগাযোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সবচেয়ে ভাল হয় ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের মাঝে ছুটি ম্যানেজ করে যেতে পারলে। এতে করে নিরিবিলি ভাবে পুরোটা সময় যেমন কাটানো যাবে তেমনি অতিরিক্ত কিছু ডিস্কাউন্টও মিলে যাবে। বর্তমানে শুক্র-শনি তে ২০% ও রবি-বৃহঃ তে ৩৫% ছাড় দিচ্ছে অনিন্দ্যসুন্দর এই রিসোর্ট টি তাদের রেগুলার রুম মুল্যের উপর। এছাড়াও “হিলি হেভেন বান্দরবান” এর মাধ্যমে বুকিং করলে অতিরিক্ত আরও ৫% ছাড় পাওয়া যাবে।
পাঁচ ধরনের ক্যাটাগরির রুম রয়েছে এই রিসোর্ট টিতে। সাংগু ভিউ, সাংগু ভিউ উইথ টেরেস, এক্সিকিউটিভ, প্রিমিয়াম এবং কটেজ রুম। যেখানে সর্বনিম্ন দুইজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ জন একসাথে এক রুমে অবস্থান করা যাবে। এক রাত থাকার জন্য যার ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকার রুমও রয়েছে। প্রত্যেক রুমের সাথেই কমপ্লিমেন্টারি বুফে ব্রেকফাস্ট প্রযোজ্য। রয়েছে ফ্রী ওয়াই-ফাই। সুইমিংপুলটি শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমের জন্য কম্পলিমেন্টারি, বাকি রুমগুলোর জন্য চার্জ প্রযোজ্য। এছাড়া আরও বিস্তারিত জানা যাবে “সাইরু হিল রিসোর্ট” এর ওয়েবসাইটে।
বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
• ০১৫৩১৪১১১১১ – সাইরু হিল রিসোর্ট
• ০১৮৭৮৯০০৯০০ – হিলি হেভেন বান্দরবান
Follow us on
Subscribe and stay up to date.
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
Nice apu 😍plan ase jawar.
amaro jete iccha kore sudhu chobi tolar jonne :P