শেয়ার করে ভ্রমণ । বেড়াতে কম-বেশি সবাই ভালোবাসেন। এই বেড়াতে যাওয়ারও নানা ধরণও আছে। কারো ভালো লাগে দলবেঁধে হইচই করে ঘুরতে, কারো হয়তো পছন্দ ছোট একটা দল বা একাই একটু নিরিবিলি ভ্রমণ। স্বামী-স্ত্রী দুজন বা বন্ধু তিনজন কিংবা একই পরিবারের চারজন অথবা ছোট গ্রুপে ছয়জন নিয়ে অনেকেই ভ্রমণে বের হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু সমস্যা হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে বা ফিরে আসতে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণ গন্তব্যস্থল আছে, যেখানে পৌঁছানোর জন্য কোনো গণপরিবহন পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে জিপ বা মাইক্রোবাস বা নৌকা রিজার্ভ করতে হয়। তাই কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন না হলে যাতায়াত ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কারো সঙ্গে শেয়ার করে ভ্রমণ করার আশায় অপেক্ষা করতে হয় কিংবা ছোট যানবাহন বাছাই করতে হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো আরামপ্রদও নয়।
নতুন জায়গায় অচেনা, অজানা কারো সাথে শেয়ার করে ভ্রমণ প্রাইভেসি বা নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেশি টাকা লাগলেও পুরো একটা যানবাহন রিজার্ভের বিকল্প থাকে না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতেই ‘ট্রাভেল এম্পায়ার বিডি’ ও ‘হিলি হ্যাভেন বান্দরবান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস’-এর যৌথ উদ্যোগে জিপ/মাইক্রো/নৌকা শেয়ার করে ভ্রমণ সেবা চালু হয়েছে।
এ বিষয়ে হিলি হ্যাভেন বান্দরবান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন আরিয়ান খান বলেন, “নতুন উদ্যোগ নিয়ে বরাবরের মতনই আমি আশাবাদী। ভ্রমণ পিপাসুদের উপকারে আসার দায়বদ্ধতা থেকেই এই পরিকল্পনার উদ্ভব। সবসময়ের মতনই প্রত্যেক ভ্রমণ স্থানের সাথে রয়েছে একেকজন উদ্যমী তরুণ যারা শুধু লাভ নয়, বরং পরিপূর্ণ ভ্রমণ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। বহু স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়ে দেখেছি অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন যাতায়াত নিয়ে। সাধ্যমতো উপকার করেছি। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় পারিওনি। সেই থেকেই এমন কিছু করার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আপনাদের দোয়ায় তা এখন বাস্তবায়নের পক্ষে।”
হিলি হ্যাভেন বান্দরবান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসে একটি মাত্র কল করেই নিশ্চিত করতে পারেন আপনার আসনটি আর শেয়ার করে ভ্রমণ করতে পারেন। সেই সাথে উপভোগ করতে পারেন গ্রুপের সাথে বেড়ানোর আনন্দ ও অভিজ্ঞ গাইডেন্স। ক্ষেত্রবিশেষে গাইড দর্শণার্থীদের সাথেই ভ্রমণ করবেন।
কোনো জেলায় গিয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে জিপ/মাইক্রোবাস/ নৌকা শেয়ার করে ভ্রমণ বাংলাদেশে এই প্রথম। ভাড়া জনপ্রতি ১৯৯ টাকা থেকে শুরু। গাড়ির প্রবেশ ও পার্কিং ফি অন্তর্ভুক্ত হলেও ব্যক্তিগত প্রবেশ ফি এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। শেয়ার করে ভ্রমণ এর এই সুবিধা পাওয়া যাবে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন ঘুরতে গেল।
শেয়ার করে ভ্রমণ এর সুবিধাগুলো ও তার খরচের একটি তালিকা এখানে দেওয়া হলো, যাতে সহজে নিজেরাই একটা ট্যুরের পরিকল্পনা করতে পারেন আর হিসাব করতে পারেন খরচের।
বান্দরবান: জিপ (১৩ আসনের)
প্যাকেজ মেঘলা: ১৯৯ টাকায় বেড়াতে পারবেন নীলাচল, স্বর্ণমন্দির ও মেঘলা।
প্যাকেজ নীলগিরি: ৩৯৯ টাকায় বেড়াতে পারবেন নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত ও মিলনছড়ি।
প্যাকেজ সাংগু: ১৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন সাঙ্গু নদী, বান্দরনী ঝরনা ও স্রোতস্বিনী ঝরনা। ইঞ্জিন ট্রলারে এটি তিন ঘণ্টার যাত্রা।
খাগড়াছড়ি: জিপ (১৩ আসনের)
প্যাকেজ কংলাক: ৫৯৯ টাকায় যেতে পারবেন হাজাছড়া ঝরনা, সাজেক বা কংলাক পাড়া।
প্যাকেজ রিসাং: ১৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝরনা এবং জেলা পরিষদ পার্ক।
রাঙামাটি: ট্যুরিস্ট বোট (১০/২০/৩০ আসনের)
প্যাকেজ শুভলং: ৩৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন ঝুলন্ত ব্রিজ, রাজার বাড়ি, মেজাং, পেদা টিংটিং ও শুভলং ঝরনা।
কক্সবাজার: জিপ (১৩ আসনের)
প্যাকেজ ইনানী: ৩৯৯ টাকায় বেড়াতে পারবেন হিমছড়ি আর ইনানী।
প্যাকেজ নাফ: ৬৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, শাহ পরীর দ্বীপ ও ইকো পার্ক।
প্যাকেজ সাফারি: ৩৯৯ টাকায় পাবেন রামু বৌদ্ধ বিহার ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ঘোরার সুযোগ।
প্যাকেজ সোনাদিয়া: ৩৯৯ টাকায় মহেশখালী, সোনাদিয়া যাওয়া-আসা করতে পারবেন স্পিড বোটে।
সুন্দরবন: লঞ্চ (১০/২০/৪০ আসনের)
প্যাকেজ কটকা: ছয় হাজার ৯৯৯ টাকায় দুই রাত/তিন দিন ঘুরতে পারবেন কটকা, জামতলা, কচিখালী, হাড়বাড়িয়া, করমজল। এই প্যাকেজে আপনি খাবারও পাবেন।
কুয়াকাটা: লাইফ বোট/ট্রলার (১০/২০ আসনের)
প্যাকেজ সমুদ্রকন্যা: ২৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন টেংরাগিরি সংরক্ষিত বন।
সিলেট: মাইক্রোবাস (৭ থেকে ১০ আসনের)
প্যাকেজ জাফলং: ৫৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন জাফলং, লালাখাল, জৈন্তাহিল ও তামাবিল)
প্যাকেজ রাতারগুল: ৫৯৯ টাকায় বেড়াতে পারবেন বিছানাকান্দি ও রাতারগুল।
শ্রীমঙ্গল: জিপ/মাইক্রো (১০ আসনের)
প্যাকেজ নীলকণ্ঠ: ৩৯৯ টাকায় পাবেন মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিস্তম্ভ, বিজিবি বধ্যভূমি, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা ও নীলকণ্ঠ চা কেবিনে ঘুরতে।
প্যাকেজ ছড়া: ৩৯৯ টাকায় ঘুরতে পারবেন লাউয়াছড়া অভয়ারণ্য ও বাইক্কা বিল।
আরিয়ান খান জানান, যেকোনো ট্যুর এজেন্সি বা গ্রুপ এই সুবিধা নিতে পারবে। তিনি আশা করছেন, এই উদ্যোগের ফলে ভ্রমণকারীরা কিছুটা হলেও উপকার পাবে।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
