ভয়াল একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশেই রয়েছে অনেক স্মৃতিসৌধ। সেই স্মৃতিসৌধের তালিকায় ‘রক্তধারা’ -ও একটি নাম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুর শহরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কয়েকটি নির্যাতন কেন্দ্র স্থাপন করে। নদীপথ বা রেলপথে যারা চাঁদপুরে পৌঁছাতো, সন্দেহ হলে তাদেরকে এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের এই টর্চার সেলে নিয়ে এসে অমানুষিক নির্যাতন করে হাত-পা বেঁধে জীবন্ত, অর্ধমৃত অথবা হত্যা করে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর খরস্রোতে ফেলে দিতো। হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসররা এ হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করতো। পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার শিকার শহীদের স্মরণে ২০১১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘রক্তধারা’ নির্মিত হয় যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। এ স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রক্তধারা ‘র স্থপতি চঞ্চল কর্মকার। একটি স্তম্ভে তিনটি রক্তের ফোঁটার প্রতিকৃতি দিয়ে বোঝানো হয়েছে রক্তের ধারা। টেরাকোটার মুর্যালে আঁকা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সহ, মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলীর চিত্র। অসাধারণ এই ভাস্কর্যটি দেখে আসতে পারেন কোন এক ছুটির দিনে।
কিভাবে যাবেন:ঢাকা থেকে লঞ্চে বা বাসে করে চাঁদপুর যেতে পারেন। লঞ্চঘাট থেকে দূরত্ব মাত্র ৭৫০ মিটার, চাইলে হেঁটেই যেতে পারবেন রাস্তাটুকু। এছাড়া রিকশা বা অটোরিকশা তো আছেই, ঘাট থেকে ভাড়া নেবে জন প্রতি ১০ টাকা। চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্তর মোড় থেকেও রিক্সা, অটোরিক্সা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় রক্তধারা স্মৃতিসৌধে। শপথ চত্তর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১/১.৫ কিলোমিটার আর বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিমি।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
