কিমলি!!! একজন তার বোনের সামনে কুকুরকে কুত্তা বলায় তার বোন খুব রেগে গিয়ে বলেছিল “কুত্তা বলিস কেন দিদি, তোকে যদি কেউ মানুষ না বলে মুত্তা বলে তাহলে ভালো লাগবে?” সারমেয়দের প্রতি এমন ভালোবাসা সবারই কম বেশি আছে। আবার এই সারমেয়দেরই আমরা লাঠি ও লাথি মেরে তাড়াই বিভিন্ন সময়ে। যত্র তত্র মূত্র ত্যাগের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে অনেকেই নীল রঙের তরলে বোতল পূর্ণ করে গেটে ঝুলিয়েছে। জোরে ডাকলে দোষ, আবার অচেনা লোক এলে না ডাকলে দোষ, দুই ক্ষেত্রেই মার জোটে এই কুকুরগুলোর। কিন্তু পাহাড়ে আবার অন্য গল্প।
রাসতালের রাস্তায় ট্রেক করছি
হিলে থেকে বার্সে পৌঁছে গুরাসতালের রাস্তায় ট্রেক করছি। জঙ্গল ঘন হচ্ছে, বেশ বুঝতে পারছি ভুল পথে এগোচ্ছি। এদিকে সন্ধ্যা হচ্ছে, চিন্তা বাড়ছে। হঠাৎ ঝোপ থেকে বেরিয়ে এলো একটা লোমশ ও সুন্দর মতো দেখতে ছোট্ট কুকুর। হিলে থেকে সাথে সাথেই ছিল, নেমে এসে পায়ে মুখ ঘসে যে পথে এসেছিলাম সেই পথে এগিয়ে গেলো। যারা জঙ্গল যুক্ত পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করেছেন তারা আশাকরি ওই সব অঞ্চলের কুকুরগুলোর এই বৈশিষ্টের সাথে পরিচিত। আমরা আর দেরি না করে পিছু নিলাম সারমেয়টির।
আমাদের ক্যাম্প।
কিছুদূর যেতেই পেয়ে গেলাম একটা হিল টপ আর ঠিক তার নিচে গুরাসতাল। যদিও অসাধারণ কিছুই নয়, তবুও অচেনা জঙ্গলে পথ ভুল করার থেকে অনেক ভালো। ফিরে এসেছি, পুরো ট্রেকের গাইড এই ছোট্ট কুকুরটি আমাদের সাথেই ফিরেছে ওখরেতে। আমি এক প্যাকেট বিস্কুট কিনলাম, বসলাম খাওয়াতে, একটা খেয়ে কোথায় যে ছুটে পালালো জানিনা। হঠাৎ দেখি তার দলবল নিয়ে হাজির, একা খাবেনা, ভাগ করে খাবে। আমাদের এই নাম না জানা অচেনা গাইড কে ভালোবেসে নাম দিলাম কিমলি ।
পাহাড়ের রাস্তায় অনেকেই গাইডের খোঁজ করেন, অনেক জায়গায় দরকার আবার অনেক পথে দরকার হয়না। তবে পথ হারাবার ভয় পাবেন না, একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমাদের কিমলির মতো দু এক টি গাইড জুটে গেলেও যেতে পারে। বিনা খরচে এমন বিশ্বস্ত গাইড পেলে মন্দ কি? পাহাড়ের মানুষগুলোর সাথে আমাদের তফাৎ অনেকটাই। অন্য কিছুর দিক থেকে না হলেও অন্তত মনের দিক থেকে। কুকুরগুলোর মধ্যেও সেই পরিবেশের প্রতিফলন। পাহাড়ি মানুষগুলোর মতন এখানকার সারমেয়গুলির মনও অনেক বড়। পাহাড়ি বাঁকে গাড়ি ছুটছে, দূরে ছোট ছোট গ্রাম, শহরের সভ্যতায় ফিরছি, হঠাৎ মনে পড়লো জনৈক পাহাড়ি এক ব্যক্তি বলেছিল, ” এই পাহাড় শুধু মানুষ নয়, একজন বড় মনের মানুষ হতে শেখায়।”
ছবি সৌজন্য: আমি ও আমার পাগল বন্ধুরা।
লিখেছেনঃ সৌম্য ভট্টাচার্য
নিবাস: কলকাতা, বাটানগর।
পেশা: ইন্টেনসিভিস্ট, অর্থাৎ ICU তে থেকে রোগীর চিকিৎসা করা।
শখ বা নেশা: হিমালয়, নতুন পথে হাঁটা
উদ্দেশ্য: সকল কে নতুন পথে হাঁটানো, আর একসাথে বেড়াতে যাওয়া।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
