প্রায় প্রতি বছরের মত এবারও বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে বিপুল সংখ্যক তিমি হত্যায় লিপ্ত জাপান। ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৮ পর্যন্ত চলা এই তিমি শিকার অভিযানের উপর ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশন –কে পাঠানো একটা রিপোর্টে ৩৩৩ টি অ্যান্টার্কটিক মিঙ্কি হোয়েল শিকার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয় মৃত তিমিদের মাঝে ১৮১টি ফিমেল (যার ১২২টি অন্তস্বত্তা ও ৫৩টি অল্পবয়সী) এবং ১৫২টি মেল (যার ৬১টি অল্পবয়সী) তিমি হত্যা করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডের কোর্ট অফ জাস্টিসে ২০১৪ সালে জাপানের বিরদ্ধে তিমি শিকার সংক্রান্ত একটা মামলায় জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া। ঐ মামলার রায়ে আদালত জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দেয়। বছরখানেক তিমি শিকার বন্ধ রেখে ২০১৫ তে সকল নিষেধাজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় উপেক্ষা করেই আবারো বৈজ্ঞানিক গবেষণার দোহাই দিয়ে জাপান তিমি শিকার অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় এবং সাথে এও জানায় যে, আদালতের নির্দেশ বিবেচনা স্বাপেক্ষে ছোট আকারের মিঙ্কি তিমি শিকার বছরে দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে এনে এক হাজারের পরিবর্তে তিনশত তেত্রিশে নামিয়ে আনা হবে। উল্লেখ্য যে, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপান বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে প্রতিবছর গড়ে তিন হাজারেরও বেশী তিমি শিকার করে আসছে যা পরবর্তিতে কিছুটা কমিয়ে আনলেও তা কখনও হাজারের নিচে নামেনি।
এত বিপুল সংখ্যক তিমি শিকারের পিছনে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে যুক্তি হিসেবে দেখানো হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন গবেষণার কাজে কখনোই এত বেশি পরিমাণ তিমি শিকারের প্রয়োজন পড়েনা। তাছাড়া সারা পৃথিবী যেখানে তিমি সংরক্ষণে মনযোগী সেখানে জাপানের এধরণের সিদ্ধান্ত কোনভাবেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত নয় বরং ধারণা করা হচ্ছে খোলা বাজারে শ্রেফ মাংস হিসেবে বিক্রির উদ্দেশ্যেই মূলত এই তিমি শিকার অভিযান। এ প্রসঙ্গে জাপানিজ স্টাডিজের প্রফেসর ক্যাটারজিনা সিউইরটকা বলেন, ‘তিমির মাংস একটি স্মৃতিবিজড়িত খাবার।’ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জাপানে তীব্র খাদ্য সংকট পরিস্থিতিতে জাপানের জনগণ তিমির মাংসের উপর নির্ভর করা শুরু করে। যে কারণে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বেড়ে ওঠা জাপানি প্রজন্মের কাছে তিমির মাংস বেশ নস্টালজিক একটা বিষয়। অতএব, বাজারে তিমির মাংসের চাহিদা থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিবেশবাদী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তথাকথিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে এই তিমি শিকার অভিযানের প্রতি তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা এবং প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠলেও জাপান সরকার এ ব্যাপারে একেবারেই নিরুত্তাপ তো বটেই এমনকি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, এই তিমি শিকার অব্যহত রাখা হবে।
জাপান ছাড়াও এতসব নিষেধাজ্ঞা আর সমালোচনার মাঝেও প্রতি বছর তাদের তিমি শিকার অভিযান চালু রেখেছে আইসল্যান্ড এবং নরওয়ে।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
