চলছি সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় । নামচে বাজার যার অবস্থান যদিও যানবাহনের রাস্তা থেকে যথেষ্টই দূরে। কিন্তু পার্থিব সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধাগুলো যথেষ্ট সংখ্যক। পুলবল, বিশাল পানশালা কি নেই এখানে! পাহাড়ের মাঝে রীতিমত পাশ্চাত্যের কোন শহর যেন নামচে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে সমগ্র বিশ্বের মানুষ হাজির বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙগকে একবার নিজের চোখে দেখতে বা জয় করতে। তবে অবাকের বিষয় পুরো শহরটাই নির্ভর পোর্টারদের রসদ ফেরি করে নিয়ে আসা ও কিছুটা স্যাংবোচে এয়ারপোর্টের কার্গো হেলিকাপ্টারে ফাপলু থেকে নিয়ে আসা সামগ্রীর ওপর।
তো এদিনের সকালের ব্রেকফাস্ট ১০০ নেপালি রুপি দিয়ে একগ্লাস ইয়াকের দুধের সাথে। পিঠে রুকস্যাক নিয়ে ট্রেকের জন্য প্রস্তুত হলাম সাড়ে ছটায়। লজের বাইরে এসে মন্ত্রমুগ্ধ হতে বাধ্য হলাম কংডে শৃঙের রুপ দেখে। ক্যামরায় বেশ কিছু ছবি নিয়েই রওনা দিলাম। মাথার উপর দিয়ে মিনিটে মিনিটে হেলিকাপ্টার উড়ে যাচ্ছে। কোনটা রেসকিউ এর জন্য, কোনটা কার্গো, কোনটা আবার হেলিতে এভারেস্টসহ ও অনান্য শৃঙগগুলি পর্যটকদের আকাশপথেই দর্শন করাতে। হেসেই বলে ওঠলাম এই পথে গরীব ট্রেকারের ভরসা দু-পা, আর বড়লোকদের হেলির পাখা। কিন্তু এই চিন্তাটাই যেন কাল হল। আজ সকাল থেকেই চড়াইয়ে পায়ের শক্তি একেবারেই পাওয়া যাচ্ছিলো না।
গতকালের সাথে আজকের শারীরিক পার্থক্যে আমি নিজেই অবাক। সাথে শুরু হল সামান্য উচ্চতাজনিত মাথার ব্যথা। যদিও এর আগেও সাড়ে ৫হাজার মিটারের ট্রেকিং করেছি কোনরকম অল্টিটিউড সিকনেস ছাড়া কিন্তু একটু হলেও এবার উপরে উচ্চতায় সমস্যা হলে কি বিফল হয়েই ফিরে আসতে হবে এই চিন্তা ফিরে আসছিলো বারবার। এছাড়াও ডাইমক্স ট্যাবলেটটাও নিয়ে আসা হয়নি, ভুল করে নয়, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন হাজার বুঝিয়েও মেডিসিন দোকানদার দিতে রাজী হয়নি। অগত্যা নামচে বাজারে মেডিসিন শপের খোঁজে একজন শেরপা দাজুকে বলাতেই তিনি নিজেই নিজের ফাস্টএইডবক্স থেকে দশটা ডাইমক্স ট্যাবলেট আমাকে বের করে দিলেন। অনুরোধ করেও টাকা নিতে তাকে রাজী করাতে পারলাম না। সত্যি নিঃস্বার্থভাবে অচেনা মানুষদের সাহায্য দানের ব্যাপারে এদের কাছে আমরা নিতান্তই ক্ষুদ্র। কিন্তু পায়ের স্ট্রেন্থের অবস্থা একই। সাথে কথায় বলে ভেজাল খেয়ে খেয়ে অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় খাঁটি আমাদের সহ্য হয়না। সকালের সেই খাঁটি দুধে পেটেরও সামান্য সমস্যা মনে হল। মেন ট্রেইলের বাঁপাশ দিয়ে সোজা খাড়া পথে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে স্যাংবোচে এয়ারর্পোটের দিকে। পাশেই সাজানো গোছানো লজের ভিড়ে একেবারেই বেমানান জীর্ন এক দোকান। শারীরিক উন্নতির জন্য একটু সস্তায় এখানে খাবার খাওয়া যেতেই পারে এই আশায় দোকানে ঢুকলাম।
দোকানে বৃদ্ধা মা ও তার ছেলে ইশ্বর। ইশ্বরের মোবাইলে চলছিলো সাউথের ডাবিং হিন্দী ফিল্ম। আগেই শুনেছিলাম পুরো নেপাল ভারতের এই চলচিত্রগুলোর ভক্ত, আজ প্রমাণও পেলাম। দারুণ ভাবে সাধ্যের মূল্যেই ওয়াই ওয়াই বানিয়ে দিলেন, সাথে স্থানীয় ব্ল্যাক টি। একটা রেড বুলও নেওয়া হল। ইশ্বরের কাছেই জানতে পারলাম যে ফাপলু থেকে স্যাংবোচে এয়ারপোর্ট থেকে ফাপলু রোজ কার্গো হেলিকাপ্টার রসদ সামগ্রী নিয়ে আসে এবং ফেরার সময় ফাঁকা যাওয়ার দরুণ স্থানীয়রা দরকারে দ্রুত এতেই ফাপলু নেমে আসে আকাশপথে। সার্ক অর্ন্তভুক্ত দেশের পর্যটকদের ভাড়া ৭০০০-৭৫০০ এনসি নেওয়া হয় সাধারণত। ইশ্বরের দেওয়া এই তথ্যটি ফেরার সময় আমাদের খুব কাজে লেগেছিলো। যাইহোক ভারতীয় টাকায় বিল মেটানোর সময় এখানে একটু সমস্যা হল। বৃদ্ধা মা নেপালী কারেন্সিতেই মূল্য মেটানোর অনুরোধ করতে লাগলেন।
কারণ হিসেবে ইশ্বরের মুখে যা শুলনাম মন খারাপ হয়ে গেলো একটু। ইশ্বরের কথায় তাদের মত স্থানীয় গরীব মানুষরা যদি স্থানীয় ব্যাংকে ভারতের বা অন্য কোন দেশের মুদ্রা ভাঙগাতে গেলে ভাবা হয় তারা পর্যটকদের কাছে চুরি করেছে যদিও বড় বড় লজের মালিকদের ক্ষেত্রে এরকম কোন সমস্যা নেই। প্রকৃত উদাহারণ গরীবের মরণ সবখানেই। যাইহোক কিছু নেপালী কারেন্সি ছিলো আমাদের কাছে কিন্তু তাও কুড়ি টাকা কম। ফেরার সময় দিয়ে দেবো এই নিশ্চয়তায় হাসিমুখেই বৃদ্ধা মার কাছ থেকে বিদাই নিলাম। কিন্তু আজ লিখতে লজ্জা লাগছে যে ফেরার সময় নামচে না আসায় এই টাকাটা আর পরিশোধ করা হয়নি। সামান্য ব্যাপার হলেও একটা পাপবোধ থেকেই গেলো এর জন্য।
শুরু হল চড়াই আর চড়াই। ওপর থেকেই দেখা যাচ্ছিলো সেই ডাবল ডেকার সাশপেনশান ব্রিজটি। কিছুদুর এগিয়েই ভিড় দাঁড়িয়ে কারণ এভারেস্টের প্রথম দর্শন। অনেক দূরে শুধুমাত্র শৃঙেগর ৫% দৃশ্যমান কিন্তু তাতেই উচ্ছাসিত ট্রেকাররা কারণ এটা এভারেস্ট। নিজের চোখে এভারেস্ট দেখছি উচ্ছসিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। পাশেই রাজকীয়ভাবে দাঁড়িয়ে সেই বিখ্যাত আমাদ্যাব্লম। আরও কিচ্ছুক্ষণ চড়াইয়ের পর আমরা দাঁড়িয়ে সেই ট্রাইজংশনে। মুখ্য রাস্তাটি ট্যাংবোচে হয়ে গিয়েছে বেসক্যাম্পের দিকে, উল্টো পাশের রাস্তাটি খাড়া উঠে গিয়েছে সেই বিখ্যাত গ্রাম খুঞ্জুম হয়ে এভারেস্ট ভিউ হোটেল হয়ে স্যাংবোচের দিকে। একটু বাঁদিক বরাবর রাস্তাটি চলে গিয়েছে গোকিওর সেই বিখ্যাত লেকগুলোর দিকে।
এই প্রসঙেগ বলে রাখি ব্যক্তিগতভাবে ট্রেকিংয়ে উদ্ধত স্বভাব না দেখিয়েও একটু দামাল না হলে সেটাকে ট্রেকিং বলে মনেই হয়না। নামী ট্রাভেল এজেন্সির তত্বাবধানে, সুদক্ষ গাইডের পথ প্রদর্শনে এই রাস্তায় চলছে অনেক বিদেশী ট্রেকাররা। কিন্তু কেমন যেন যান্ত্রিকভাবে। গাইড যা বলছে সেটা তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। রীতিমত মার্চিং করে চলছে সম্মুখে। অন্যদিকে আমরা গাইড ছাড়া অনেকটাই স্বাধীন, দাঁড়াচ্ছি, ছবি তুলছি আবার চলছি নিজের ইচ্ছে অনুসারে। যাইহোক ট্রাংজংশনে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের প্ল্যানের কোন পরিবর্তন করছি না। প্ল্যান অনুযায়ী গোকিও লেক, চোলাপাস হয়েই এভারেস্ট বেসক্যাম্পে পৌঁছবো আমরা। গোকিওর রাস্তা নেওয়ার পর ট্রেকারদের সংখ্যাও অনেকাংশেই হ্রাস পেতে লাগলো।
এরপর শুধুই দমফাটা চড়াই। চড়াইয়ের সাথে আবার শুরু হল শারীরিক অসুবিধা। তবুও মনোবলে হাঁটছি কিন্তু তুলনামূলক অনেক ধীরে ধীরে। সঙগী দাদা অনেকটা এগিয়ে গেছেন। যাইহোক দাদা রাস্তায় নিশ্চয়ই আমার জন্য দাঁড়াবেন এই নিশ্চয়তায় চড়াই ভাঙগছি। দূরে দেখা যাচ্ছিলো মঙগলাকে। রাস্তায় দুজনকে দেখলাম যারা এই ট্রেক রুটটার বর্জ্যপদার্থ, প্লাস্টিক সংগ্রহ করছিলো। পরিবেশ সচেতনতায় নেপাল সরকারের এই উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। মঙগলার ২ ঘন্টার রাস্তা পৌঁছতে সময় লেগে গেলো প্রায় দ্বিগুণ। পুরো রাস্তাতেই রাজকীয়ভাবে আমাদ্যাব্লম ধরা দিচ্ছিলো আমাদের দৃশ্যপটে।
মঙগলার পর রাস্তা একেবারেই নেমে গিয়েছে নদীবক্ষে। অনুপ্রেরণা জানাতে হাজির মোনাল। এই প্রসঙেগ বলে রাখি এই ট্রেকে ৩০ প্রজাতিরও বেশী পাখির ছবি তুলতে আমরা সমর্থ হয়েছি। একবারে নদীবক্ষে এসে পথটি দুভাগে বিভক্ত হয়। একটি পথ ডোলে হয়ে গোকিওর দিকে আরেকটি ডানদিকে নদীপার হয়ে ফোরস্তেটঙগা হয়ে মাচমেরোর আগে আবার একটি ব্রিজ পার হয়ে প্রথম রাস্তাটির সাথে যোগ হয়েছে। যাই হোক দাদার কিন্তু পাত্তা নেই। এই কনফিউজিং জংশনটায় আমার শারীরিক অসুবিধার কথা জেনেও কোন নির্বুদ্ধিতায় এগিয়ে গেলেন এই ভাবনায় রীতিমত একটু মাথা গরম হয়ে গেলো। কারণ একা হলে আলাদা কথা কিন্তু দুজন মানেই একটা দল। সেখানে ব্যক্তিগত সফলতার থেকে দুজনের সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরাটা বেশী গুরুত্বপূর্ন বলেই মনে হয়েছিলো আমার। যাইহোক স্থানীয়দের কাছে জেনে অপেক্ষাকৃত শর্টকাট ডোলের পথেই অগ্রসর হলাম।
ট্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে শারীরিক শক্তি থেকে মানসিক শক্তিটাই বেশী গুরুত্বপূর্ন। কষ্টকর চড়াইয়ে মনে হাজার চিন্তার ভিড়, বিফলতার দুশ্চিন্তাকে মানসিক আত্মবিশ্বাসে জয় করাটাই সফলতার রসদ। জানি না এই আত্মবিশ্বাসে কখন অজান্তেই ভুলে গিয়েছি শারীরিক অসুবিধার কথা। একের পর এক চড়াই। কিন্তু নিশ্চিন্তে রীতিমত দৌড়ে উঠে যাচ্ছি। নিজেই নিজের শারীরিক ম্যাকানিজমের ওপর হেসে ওঠলাম এই ভেবে যে সারাদিন চার্জ হয়ে বিকেলে ১০০% এনার্জি। প্রায় ৩ ঘন্টা চড়াইয়ের পর দূর থেকে দেখলাম একজন লাল জ্যাকেট পরে হাত নাড়ছে। সঙগী দাদা। বুঝলাম ডোলে এসে পড়েছে। কিন্তু বুঝেও হাত দেখলাম না কারণ তখনও একটা রাগ ছিলই। পৌঁছানোর পরই আমি কিছু না বলতেই দাদা নিজেই বলতে লাগলেন “আমি জানতাম তুই পৌঁছে যাবি।” আমি আর এই ব্যাপারে কথা বাড়ালাম না। রাতে দেখা হল অনেকজন শেরপার সাথে যাদের অনেকেই এভারেস্ট সহ ভারতের লাদাকের অনেক শৃঙগই ইতিমধ্যে জয় করে ফেলেছে। তাদেরই একজনের ভাই পুরোপুরি আমার মত দেখতে বলেও জানালেন। খুশি হলাম এইভেবে যাক আমার ৭ জন “লুক এলাইকের” একজন তো নেপালে আছে। রাতে ডাইমক্স সহ অ্যান্টাসিড খেলাম। সাথে ইশ্বরকে স্মরণ করলাম আগামী দিনগুলোর সুস্থতা ও সফলতার জন্য। এই প্রথম ট্রেকিং পথে মেডিসিন নিতে হল, মনে হচ্ছিলো কোন একটা রেকর্ড যেন নিজের হাতেই অবশেষে নষ্ট হল।
সকালে ওঠেই আজ ১০০% ফিট। আবার ব্রেকফাস্টে দুধের অর্ডার দিলাম, সাথে এবার নেপালী বলতে পারার জন্য মধু ফ্রি। ২ ঘণ্টায় পাহাড়ের মাথায়। চো-য়ু এবার ধরা দিলো তার রাজকীয় রুপে। এরপর লাফরমা, লুজা হয়ে অনেকটা নেমে পৌঁছে গেলাম মাচমেরো। এরপর আমার চড়াই। অনুপ্রেরণা জানতে একেবারে একজোড়া “হিল পার্টিজ’। চড়াই ভেঙেগ বেশ কিছুটা সমান রাস্তায় হেঁটে পৌঁছে গেলাম গোকিওর আগের ছোট্ট একটা সেটেলম্যান্টে। বড় বড় হরফে লিখা “গোকিও লেক” আর মাত্র ২ ঘন্টার পথ। সেই বিখ্যাত “গোকিও লেক” পৌঁছেই গেছি ভাবতেই কেমন যেন রাজকীয় শিহরণ অনুভব করলাম। রুকস্যাক থেকে সামান্য শুকনো খাবার বের করে কিছুটা খাড়া চড়াই রাস্তার পর শুরু হলো পাথরের রাজত্বের, সাথে শুরু হল তুষারপাত। এদিকে ফোরস্টে টঙগার রাস্তাটাও এসে মিশেছে। বোল্ডার জোনে প্রায় ৩০ মিনিট হেঁটেই পৌঁছে যাই প্রথম লেক। সেখানেই জলকেলি করে বেড়াচ্ছিলো একজোড়া বাক্ষ্মনী হাঁস। অনেকাংশই বরফ হয়ে আছে লেকটির।
সত্যি অপরুপ লেকটির সৌন্দর্যে পুরোনো একটা লেখার কথা মনে পড়ে যায়। লেখাটি ছিলো “স্বর্গ কোথায়”। লেখক “কুমারসম্ভব” গ্রন্থের রেফারেন্স টেনে লিখেছিলেন স্বর্গ পৃথিবীর বাইরের কোন অংশ নয় হিমালয়ের উচ্চতার এই স্থানগুলো তথা হিমালয় পার করে মধ্য এশিয়ায় গড়ে ওঠা প্রাচীন এক সাম্রাজ্য, যা লেখকের মতবাদ অনুযায়ী এখন প্রাকৃতিক কারণে গোবি মরুভূমির বালুকারাশীর বুকে নিম্মজিত। এছাড়াও ভাবতে থাকি সেই সত্য, দ্বাপরযুগে মানুষ পায়ে হেঁটেই তো হিমালয়ের পথেই স্বর্গে পৌঁছেছে। ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির নিজেও তো স্বর্গারোহিণী পর্বত হয়েই স্বর্গে পৌঁছেছিলেন। সত্যি যেন সেই স্বর্গীয় সরোবর যেথায় জলকেলি করে সোনালি রাজহংস। যাই হোক তুষারপাতের কারণে ঠান্ডার প্রকোপও মাত্রারিক্তভাবে বৃদ্ধি পেলো। এভাবেই হেঁটে পৌঁছে গেলাম দ্বিতীয় লেক তাউজানে। পুরো দুধসাদা বরফ হয়ে গেছে লেকটি। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিলো মেঘের আড়ালে ঢেকে যাচ্ছে গোকিও রি। বুঝলাম গোকিও লেক আর বেশী দূরে নেই।
একটি জলধারা বরাবর এগিয়েই পৌঁছে গেলাম লেকটায় যার আরেক নাম “দুধ পোখারী”। প্রথম দর্শনেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলাম তার মোহময়ী শুভ্ররুপে। বুঝতে পারি ঠিক কি কারণে জগৎজুড়ে এই লেকটি বিখ্যাত। পাশেই রাজকীয়ভাবে দাঁড়িয়ে চো-য়ু। লেকের একেবারে পাশেই লজ তথা পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম “আর্ট সেন্টার”। খাওয়ার রেস্টুরেন্ট তাই জমকালোভাবে সাজানো স্থানীয় আঙগিকে। রাতে দেখা হল বিখ্যাত পূর্বা শেরপার সাথে, তিনি একজন মহিলা সহ তিনজনের এক জাপানী দল নিয়ে আবার চলেছেন এভারেস্ট অভিযানে। হাস্যমুখ আমার দাদার মত অহংকারশূন্য মানুষটির সাথে খেতে খেতেই তার অভিযানগুলো নিয়ে অনেক গল্প শোনার সৌভাগ্য হল।
চলবে…
• সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় (১ম পর্ব)
• সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় (২য় পর্ব)
• সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় (৪র্থ পর্ব)
• সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় (৫ম পর্ব)
• সাগরমাথার নিজস্ব আঙিনায় (৬ষ্ট পর্ব)
লিখেছেন তাপস কুমার রায়। স্বাস্থ্যদপ্তরে এবং পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করেন। নেশা- ক্রিকেট, ট্রেকিং, ইতিহাস ও একটু আলাদা টাইপ অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজ আর সাপ।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
