বাংলাদেশের ডলফিন। বাংলাদেশ হলো বিভিন্ন প্রজাতির বিপুলসংখ্যক জলজ স্তন্যপায়ীর অবাধ বিচরণক্ষেত্র। এশিয়ার অন্যান্য দেশ, যারা বাংলাদেশের প্রতিবেশী, তাদের তুলনায় বাংলাদেশের নদী ও উপকুলীয় এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির জলজ স্তন্যপায়ী অনেক বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, উপকুলীয় ও গভীর সমুদ্রের জলভাগ অসাধারণ সব প্রজাতির জলজ স্তন্যপায়ীর জন্য খুবই উপযোগী বাসস্থান।

বাংলাদেশের ডলফিন প্রজাতির মাঝে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ডলফিন হলো শুশুক। এরা সত্যিকারের নদীর ডলফিন। বিশেষ আকৃতির লম্বা ঠোঁট, পিঠের ছোট ডানা আর দুই পাশের বড় পাখনার কারণে শুশুক দেখতে একটু অদ্ভুত। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্নফুলী নদীর প্রায় সব জায়গাতেই শুশুকের বাস। নদীর ডলফিন সাগরের ডলফিনের দুরসম্পর্কের আত্মীয়। এদের ঠোঁট লম্বা এবং চোখ খুব ছোট। শুশুকের দৃষ্টিশক্তি খুবই দুর্বল। নদীর যে ঘোলা পানিতে এদের বসবাস, সেখানে দৃষ্টিশক্তির খুব একটা প্রয়োজন হয় না। এর বদলে এদের ইকোলোকেশনের শক্তি অনেক প্রখর। চলাচলের সময় অন্যান্য জলজ স্তন্যপায়ীদের মত প্রতিধ্বনিত শব্দ দিয়ে মস্তিষ্কে চারপাশের প্রতিচ্ছবি তৈরি করেই পথ চলে ডলফিন।

শুশুকের শরীরের দুই পাশের বড় পাখনা ও নমনীয় ঘাড়ের জন্য এরা সহজে চলাচল করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, এরা কাত হয়ে সাঁতার কাটে। বড় পাখনার সাহায্যে এরা নদীর তলদেশ ছুঁয়ে পথ নির্ধারণ করে। এরা কিন্তু মোটেই সমাজবদ্ধ নয়। সাধারণত একাই থাকে। তবে অনেক সময় নদীর বাঁকে ও মোহনায় ছোট ছোট দলে দেখা যায়।

কিছু প্রজাতির ডলফিন নদী ও সাগর উভয় স্থানেই দেখা যায়। যেমন ইরাবতী ডলফিন। আমাদের দেশে এরা সুন্দরবনের মিঠা পানির নদী আর বঙ্গোপসাগরের উপকুলীয় অঞ্চলে বাস করে। নদীসহ যেসব উপকুলীয় জলাশয়ে নদী থেকে মিঠা পানি আসে, সেসব স্থানে ইরাবতী ডলফিন দেখা যায়। সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জলপথে এরা শুশুকের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকে।

গোলাপি ডলফিন বা ফিনলেস পরপয়েসকে মাঝেমধ্যে সুন্দরবনের নদীতে দেখা গেলেও এরা আসলে উপকুলীয় জলভাগে বাস করে, যেখানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদী থেকে মিঠা পানি আসে।

প্রতিনিয়ত দূষন এবং নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ডলফিন সহ অন্যান্য জলজ প্রাণী। এখনই যথাযোগ্য পদক্ষেপ না নিলে কিংবা সচেতন না হলে হয়ত এই অসাধারণ সব জীববৈচিত্রের কথা একদিন রুপকথার ড্রাগনের মতই কোন বইয়ের পাতায় পড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।

লেখাঃ মাহবুবুর রহমান অপু

Follow us on

Subscribe and stay up to date.

BUY YOUR
HAMMOCK
NOW

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

গন্তব্য যখন তিনাপের বাড়িগন্তব্য যখন তিনাপের বাড়ি
ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?

About the Author: Living with Forest

Sharing does not make you less important!

গন্তব্য যখন তিনাপের বাড়িগন্তব্য যখন তিনাপের বাড়ি
ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?

Sharing does not make you less important!

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

গন্তব্য যখন তিনাপের বাড়িগন্তব্য যখন তিনাপের বাড়ি
ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?ব্ল্যাক প্যান্থার আসলে কি?

Sharing does not make you less important!

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

|Discussion

Leave A Comment