বালিতে মুদ্রা পরিবর্তনে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। বালির সমুদ্রে অনন্য সূর্যাস্ত, আগ্নেয় পাহাড়ে মেঘের হাতছানি, পাহাড়ের ঢেউ খেলানো বুকে সবুজ চা বাগান আর বালির কৃষ্টি-সংস্কৃতির জন্য এ এক অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য। প্রায় পুরো বছর জুড়েই সারা পৃথিবীর সকল সার্ফিং প্রিয় মানুষ ছুটে আসেন বালির সমুদ্রে সার্ফিং করতে। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ে সবসময় জমজমাট হয়ে থাকে বালি। একদা বেড়াতে গিয়েছিলাম সেই অপূর্ব দ্বীপ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে।
নতুন কোন দেশে গেলে প্রথমেই যা করতে হয় তা হল নিজের সাথে থাকা মুদ্রাকে সেই দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করা। মুদ্রা পরিবর্তনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। এয়ারপোর্টগুলোর মানি এক্সচেঞ্জ বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জ গুলোতে সাধারণত এক্সচেঞ্জ রেট অনেক কম থাকে। তাই আমি প্রথম দিনের হোটেল ভাড়া, ট্যাক্সি ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ অল্প কিছু টাকা এয়ারপোর্টে এক্সচেঞ্জ করছিলাম।সেই টাকা যখন শেষের পথে তখন উবুদ শহরের মানি এক্সচেঞ্জ কিয়স্ক খুঁজতে শুরু করলাম।
বেশ কয়েকটা জায়গায় দেখলাম মোটামুটি কাছাকাছি এক্সচেঞ্জ রেট। কিন্তু একটা হাতে লেখা মানি এক্সচেঞ্জ সাইনবোর্ড বেশ নজর কাড়ল। দেখলাম সেখানে বেশ ভাল রেট দেওয়া, তারা কোন কমিশনও নিবেনা। সেই সাইনবোর্ড ধরে কিয়স্কটা খুঁজতে গিয়ে দেখলাম সেটা রাস্তা ছেড়ে একটু ভিতরের দিকে এবং ছোট্ট একটুখানি একটা ঘর যেখানে ছোট একটা জানালা আছে মুদ্রা আদান প্রদান করার জন্য। যাইহোক আমি ১০০ ইউরোর একটা নোট বাড়িয়ে দিলাম। এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী আমি পাব প্রায় ১৬ লাখ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়াহ। ইন্দোনেশিয়াতে ১ লাখ টাকার নোট আছে। মানি এক্সচেঞ্জের লোকটা ১৬ টা নোট গুনে আমার হাতে দিয়ে বলল আমাকে গুনে নিতে। আমি গুনে দেখলাম ঠিকই ১৬ টা নোট আছে। তখন লোকটা বলল “আমাকে দাও আমি আবার গুনে দেই”। আমার একটু খটকা লাগল, তাই আমি বললাম “আমি গুনেছি, ঠিক আছে, আর গুনতে হবে না’। লোকটা তখন টান দিয়ে আমার হাত থেকে নোট গুলো নিয়ে বলে “তোমার কাছে বিক্রি করব না”। আমি ব্যাপারটা বুঝতে না পারলেও কিছুটা বিরক্ত হয়েই আমার দেয়া ১০০ ইউরোর নোটটা তার হাত থেকে এক প্রকার কেড়ে নিয়ে চলে এলাম।
ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা রুপিয়াহ। ছবিঃ সংগৃহীত।
পরবর্তীতে পুরো ঘটনাটা বিশ্লেষণ করে এবং আরো দুয়েকজনের সাথে আলোচনায় বুঝতে পারলাম এটাই তাদের এত আকর্ষণীয় এক্সচেঞ্জ রেটের ট্রিক। আমি যদি তার হাতে নোট গুলো আবার দিতাম সে আবার গোনার সময় একটা ম্যাজিক করত। সে দেখাত সে গুনেছে ১৬ টা কিন্তু এই গোনার ফাঁকেই সে হয়তো একটা/দুটো নোট সরিয়ে ফেলত। আর আমি পরে টাকা গুনে বোকা হয়ে যেতাম। যেহেতু এরা বেশ সংঘবদ্ধ হয় সেহেতু এখানে আমার কিছু বলতে বা করতে পারার সুযোগ থাকতো না।
উবুদে এই রকম হাতে লেখা বোর্ডে আকর্ষণীয় এক্সচেঞ্জ রেট লেখা থাকে। ছবিঃ সংগৃহীত।
তাই বিদেশে ভ্রমণে গেলে মুদ্রা পরিবর্তনে অত্যন্ত সতর্ক থাকুন। এয়ারপোর্ট না হোক শহরের মধ্যে চালু কোন স্থাপনায়, বাজারে বা কোন শপিং মলে অবস্থিত কোন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে মুদ্রা পরিবর্তন করুন। এই সব মানি এক্সচেঞ্জে সাধারণত ইলেকট্রনিক বোর্ডে এক্সচেঞ্জ রেট দেওয়া থাকে।
মানি এক্সচেঞ্জে ইলেকট্রনিক সাইনবোর্ড। ছবিঃ সংগৃহীত।
মানি এক্সচেঞ্জ গুলো হতে পারে এই ধরণের। ছবিঃ সংগৃহীত।
অনেক ভিড় আছে এমন কোন মানি এক্সচেঞ্জে যাবেন। নোট হাতে পেয়ে সেখানেই গুনে দেখবেন পরিমাণে ঠিক আছে কিনা। নোটগুলো চেক করে নিবেন জাল নোট মনে হচ্ছে কিনা। মনে রাখবেন বিদেশে টাকাই আপনার সবচেয়ে বড় সহায়ক। আর্থিক ক্ষতি বা জাল নোটের ফাঁদে পরে নষ্ট হতে পারে আপনার ভ্রমণের আনন্দ।
Follow us on
Subscribe and stay up to date.

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।

বন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের স্বার্থে বেড়াতে গিয়ে অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অপচনশীল যেকোন ধরনের আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক প্যাকেট, যে কোন প্লাস্টিক এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করুন। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এ পৃথিবীটা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আমাদের।
